একেই বাংলা সিনেমার লক্ষ্মী আয়ে ভাঁড়ে মা ভবানী! উপরন্তু ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে বাক-বিতণ্ডা কিংবা চিমটি কাটার অন্ত নেই। সিনেমা ব্যবসা করুক কি না করুক, কটাক্ষ-সমালোচনা চলছে বহাল তবিহতে। এবার টলিউড প্রযোজকের কটুক্তির শিকার অনির্বাণ ভট্টাচার্য।
এই অবশ্য প্রথম নয়। এর আগেও প্রযোজক রানা সরকার অনির্বাণকে খোঁচা দিয়েছেন 'গরীবের আলপাচিনো' বলে। এবার কিংবদন্তী পরিচালক আলপাচিনোর জন্মদিনেও 'টলিউড খোকা'র ছবি দিয়ে তাঁকে বিঁধতে ছাড়লেন না। প্রসঙ্গত অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য এখন পরিচালকও। প্রথম ২টো কাজেই নিজের জাত চিনিয়েছেন তিনি। টলিপাড়ার পরিচালকদের টেক্কা দিয়ে দর্শকদের মন জয় করেছেন। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই-ও একাধিক কাজ করছেন। যার মধ্যে সদ্য মুক্তি পেয়েছে 'ব্যোমকেশ'-এর নতুন মরসুম। এবার সেই প্রেক্ষিতেই অনির্বাণকে ভয়ঙ্কর খোঁচা দিলেন রানা সরকার।
উল্লেখ্য, অনির্বাণ ভট্টাচার্য লাগাতার হইচইয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এসভিএফ প্রযোজনা সংস্থার ঘরের লোক বললেও অত্যুক্তি হয় না তাঁকে! এর আগে রানা প্রযোজিত শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জীবন অবলম্বনে 'লহ গৌরাঙ্গের নাম রে' সিনেমায় অনির্বাণ ভট্টচার্যের কাজ করার কথা ছিল। তখন অবশ্য পরিচালনার কথা ছিল সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের। তবে পরিচালক সেই ছবিটি থেকে সরে এসেছেন। কানাঘুষো শোনা যায় অনির্বাণও নাকি সেই প্রজেক্ট থেকে তারপর নিজেকে গুটিয়ে নেন। সম্ভবত অনির্বাণের প্রতি সেই থেকেই তিক্ততার শুরু রানার।
এবার ফেসবুকে লিখলেন, "বন্ধুবর অনির্বান… আমি চাই তুমি আল পাচিনোর মতো বড় হও। শুধু বাংলা নয়, বলিউড নয়, ইরানি সিনেমা, কোরিয়ান সিনেমা, জাপানী সিনেমা হয়ে তুমি হলিউড জয় করে নাও।
তোমার সেই প্রতিভা আছে আমি বিশ্বাস করি, তাই ওটিটি আর সুরক্ষিত চুক্তির লোভ থেকে নিজেকে উদ্ধার করে বেরিয়ে এসো। তুমি পারবে গরিবের আল পাচিনোর সীমাবদ্ধতা থেকে নিজেকে মুক্ত করতে। কাল চেঙ্গিজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। তাই আজ তোমায় আল পাচিনোর জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমরা শুধু এই দেশেতেই থাকবো না, দুনিয়ার সিনেমা মজদুর একদিন এক হবে।" এই পোস্টে অনির্বাণের সঙ্গে নাম না করে এসভিএফ প্রযোজনা সংস্থাকেও বিঁধেছেন তিনি।
এর আগে অনির্বাণ অভিনীত সিনেমা ‘মিথ্যে প্রেমের গান’-এর বক্সঅফিস কালেকশন নিয়েও খোঁটা দিয়েছিলেন রানা সরকার। বলেছিলেন, “নতুন সিনেমা রিলিজের প্রথম ২ দিনে ১ লক্ষ টাকাও বিক্রি নেই বক্সঅফিসে। শাহরুখ খান ফিরবে বলেছিলো, কিন্তু খোকা নিজেই ভ্যানিশ হয়ে যাবে কে জানতো? তবুও আঁতলামো চলবে, নিজের একক অভিনীত ছবি দ্বিতীয় সপ্তাহে টানার ক্ষমতা নেই কোনওদিনই, তবুও মুখোশ পরা ডায়লগবাজি। বন্যরা বনে সুন্দর,কিছু স্টার ওটিটি-ক্রোড়ে। ছেলেটা আদ্যন্ত একটি ধান্দাবাজ , সেই কারণে ওর প্রতিভার অপচয় হচ্ছে শিল্প হচ্ছে না..।”