রাজনৈতিক আবহাওয়াকে প্রশ্ন করার মাসুল দিতে হয়েছে অনীক দত্তকে? শনিবার বিকেলে 'ভবিষ্যতের ভূত' সমস্ত সিনেমাহল থেকে তুলে নেওয়ার পর এমনই আশঙ্কার কথা উঠেছে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে। মুক্তির একদিনের মধ্যে রাজ্যের প্রায় বেশিরভাগ হল থেকে উঠে গেল 'ভবিষ্যতের ভূত'। অগ্রীম টিকিট কেটে রাখা দর্শক ছবি দেখতে এলে বলা হল ছবিটা চলছে না। এমনকী তাদের টাকা ফেরৎ নিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। আর এই পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করেই উত্তাল টলিউড।
আচমকা কেনই বা বন্ধ হল ছবির স্ক্রিনিং? সে বিষয়ে অবশ্য কোনও সদুত্তর মেলেনি সিনেমাহল মালিকদের কাছ থেকে। এদিকে ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে শিল্পীদের একাংশ। এই পদক্ষেপের প্রতিবাদ করে সোশাল মিডিয়ায় সরব হয়েছে টলিপাড়া।
Paraphrasing Chomsky, if u don't believe in freedom of expression of people u disagree with, u don't believe in it at all. One can criticise or ignore but not stop others. In solidarity with Bhobishyoter Bhoot, as was with Padmavati,Herbert,The Accidental Prime Minister & Danga.
— Srijit Mukherji (@srijitspeaketh) February 16, 2019
just heard about #BhobishyoterBhoot being taken off theatres! If this is for any political reason, it’s abominable! The idea is to deal with dissent and criticism! Not shun it! Let’s welcome different voices! People will anyway choose what they deem right!
— parambrata (@paramspeak) February 16, 2019
একটা সিনেমা এসেছে হলে |
সেটা আমি দেখবো কি না, তা তো আমি ঠিক করবো | পুলিশ কেনো ঠিক করে দেবে ?
আশ্চর্য্য ব্যাপার !!????
Condemn the forceful stopping of the exhibition of #BhobishyoterBhoot— Sudiptaa Chakraborty (@SudiptaaC) February 16, 2019
আরও পড়ুন, ভবিষ্যত অনিশ্চিত, ‘ভূতের’ হানার মুখে অনীক দত্তের সিনেমা
Not only because I am an artist but as a logical human being we all should believe in freedom of expression & I just wish it is retained at any cost to keep the sanity of our society intact..
— Abir Chatterjee (@itsmeabir) February 16, 2019
ভবিষ্যতের ভূত? এইবার তো দেখতেই হবে ছবিটা!
অনতিবিলম্বে এই ব্যান তুলে নেওয়া হোক!#AnikDutta #BhobishyoterBhoot— Anupam Roy (@aroyfloyd) February 16, 2019
প্রসঙ্গত, লাল, সবুজ, গেরুয়া বাহিনী, সাংবাদিকতার অন্ধকার দিক, সিনেমায় গুন্ডারাজ, সবকিছু নিয়েই ছবিতে সোজাসুজি আক্রমণে নেমেছিলেন পরিচালক। স্পষ্ট ইঙ্গিতে মাচা, ফিল্ম সিটির জন্য জমি দখলের প্রতিবাদ, চড়াম চড়াম, অক্সিজেন, ঘুষ নেওয়ার স্টিং অপারেশন দেখিয়েছেন তিনি। রেয়াত করেন নি কাউকেই। লড়াই করে বক্স অফিস পর্যন্ত ছবিটা এনেছিলেন ঠিকই, কিন্তু শেষরক্ষা হল না।