Tonni Laha Roy: মা - যার জীবনে মা নেই, সেই বোধহয় জানে তাঁর গুরুত্ব। মা চলে গেলে জীবনের প্রতিটা অধ্যায় যেন পাল্টে যায়। আর চোখের সামনে মায়ের শেষযাত্রায় হওয়া সমস্ত ঘটনা দেখা সম্ভব আদৌ? কিন্তু তন্বী সেই কাজ করছিলেন। তিনি জেদ করেই মা চলে যাওয়ার পর মেডিক্যাল পরিসরে যা যা করা হয়, সবটাই চোখের সামনে দেখেছিলেন তিনি। অভিনেত্রীর মা চলে গিয়েছেন এক বছর। তাঁর স্মৃতিতে ডুবে থাকেন সবসময়। মায়ের একবছর মৃত্যুবার্ষিকীতে আজ এমন কিছু কথা সকলের সামনে আনলেন, যা এতদিন কেউ জানতেন না।
মায়ের ছবিটা আগলে বসে আছেন তিনি। আজ একটা বছর পরও সেইসব স্মৃতি কিছুই ভোলেননি। মা মারা যাওয়ার তাঁকে যেভাবে শারীরিক সব পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। সেই প্রসঙ্গেও তিনি লিখেছেন। যা সহ্য করার মতো শক্তি মানুষের নেই, সেটা যেন শুধু জন্মদাত্রী মায়ের খাতিরেই চেয়েচেয়ে দেখেছেন। অভিনেত্রী সমাজ মাধ্যমে একটি পোস্ট করে লিখছেন...
"আজ এক বছর কিভাবে হয়ে গেলো তোমায় ছাড়া?!এখনও রোজ ভাবি, সকালে ঘুম থেকে তুলে দেবে, ফোন করবে বারবার—‘কখন ফিরবি?’‘জল খা’, ‘টিফিন করেছিস?’‘প্যাকআপ হয়নি এখনও?’ ‘ফেরার সময় কি বিরিয়ানি আনবি?’ ভাবি, ফোন আসছে না, কথা হল না—তখন মনে পড়ে যায়, ‘ও, তুমি তো নেই!’আসলে এখনও বিশ্বাসই হয় না...এই তো কাল রাত থেকেই খালি সময়ে ভাবছি—মনে হচ্ছে গত বছরও তো তুমি ছিলে,তোমার পাশেই হাতটা ধরে ছিলাম...জানলে আর একটু আটকে রাখতাম তোমায়, যেতে দিতাম না এত তাড়াতাড়ি। তুমি আমায় শক্ত হতে শিখিয়েছিলে—কীভাবে মুখ বন্ধ করে কষ্ট সহ্য করতে হয়, আমাদের কথা ভেবে কষ্টটা কাউকে না বলেই চুপ করে থাকতে হয়। আমি তোমায় ড্রেসিং করে দেওয়ার সময় ভাবতাম—‘তুমি কীভাবে যন্ত্রণা লুকিয়ে যাও!"
Deepika Padukone: স্বামী রনবীর তাঁর ধারে কাছে নেই, অভিনেত্রী হিসেবে …
"মনে পড়ছে, সেদিন যখন তুমি চিরতরে চলে গেলে, নার্সরা বলল—‘আপনারা একটু বেরোন, ওনাকে মরগের জন্য রেডি করবো।’ কেউ রুমে থাকতে পারবে না। আমি কারণ জানতে চাইলে বলল, ‘লাস্ট সব চেক হবে, সেটা দেখানো যাবে না।’ আমি বলেছিলাম, ‘আমি থাকবো।’সেই জেদ নিয়েই তোমার পাশ ছাড়িনি। তারা নিজেদের মধ্যে চাওয়া-চাওয়ি করে বাধ্য হয়ে আমায় রেখেই রুম লক করলো। তোমাকে ওরা কীভাবে শেষ চেক করলো সেটাও দেখলাম তোমার পাশেই বসে— প্রথমেই ECG করলো, ভাবলাম হয়তো এখনও হার্ট চলছে। সাথে সাথে কাগজটা বের হলো—সোজা দাগ কাটা লাইন। তখন হাল ছেড়ে দিলাম, কিন্তু তোমার পাশ ছাড়িনি। তারপর তোমার নাক আর মুখ থেকে সব ফ্লুইড বের করলো—মানুষ চলে গেলে শেষে কী কী করে সেটাও শিখে নিলাম, তোমার পাশেই বসে।"
Anirban Bhattacharya Boycott: অনির্বাণকে বয়কট টেকনিশিয়ানদের, বন্ধ শুটিং! অফিসিয়াল বিবৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন পরমব্রত..
কাছের মানুষটা চলে গেলে তাঁকে ধরে রাখা যায় না। কিন্তু, তাঁর স্মৃতি আগলে থাকা যায়। শুধু তাই নয়, অভিনেত্রী এখন মায়ের ছবি কোলে নিয়েই ঘোরেন। মা চলে যাওয়ার পর অনেককিছু দেখলেন, অনেক মানুষকে চিনলেন। কেউ কেউ হাত ছাড়ল। তিনি আরও লিখলেন, এখন কেমন আছো মা? খুব জানতে ইচ্ছে করে। তোমার মেয়ে আগের মতো আর স্ট্রং থাকতে পারে না মা...এই এক বছরে কত মানুষ চিনলাম, কত কী দেখলাম...তুমি একটা কথা বলতে, ‘জীবনে মা-বাবাই সবথেকে ভালো বন্ধু হয়, তাদের চেয়ে বেশি কেউ ভালোবাসবে না।’ তুমি আশা করি সব দেখো, পাশেই আছো তাই না মা? খুব ইচ্ছে করে তোমায় জড়িয়ে ধরি, কোলে মাথা রেখে ঘুমাই...কিন্তু এখন তোমার ছবি কোলে করে ঘুরি...খুব মিস করি...।"