গত বছর 'উরি: দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক' মুক্তি পাওয়ার পর থেকে ভিকি কৌশল বহুল জনপ্রিয় হয়েছেন। তাঁর বহু প্রতীক্ষিত 'ভূত: দ্য হন্টেট শিপ' সামনেই মুক্তি পেতে চলেছে, যা মুম্বইয়ের একটি সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে ভিকি বলেন, ভূতের বিষয়ে কথা বলার সময়, স্ট্যানলি কিউব্রিকের দ্য শাইনিং-এর কথা মনে পড়ে। যা বিখ্যাত পরিত্যক্ত হোটেলটিতে চরিত্রদের দৃশ্যায়িত করার কারণে (লেখক হিসাবে জ্যাক নিকোলসন ধীরে ধীরে তাঁর মানসিক স্থিতিশীলতা হারিয়েছিলেন) তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং তাদের মানসিক উত্তেজনাও তৈরি করে।
দ্য শাইনিং, ভিকির প্রিয় ছবি বলে মনে হচ্ছে, সেই কয়েক লক্ষ দর্শকের মতো যাঁরা কিউব্রিকের ভয়ানক মাস্টারপিসকে শ্রদ্ধা করে চলেছে, কৌশল এও দাবি করেছিলেন যে তিনি "হরর ফিল্ম দেখে খুব ভয় পান।" দ্য শাইনিং, ভিকির প্রিয় ছবি বলে মনে হচ্ছে, সেই কয়েক লক্ষ দর্শকের মতো যাঁরা কিউব্রিকের ভয়ানক মাস্টারপিসকে শ্রদ্ধা করে চলেছে, কৌশল এও দাবি করেছিলেন যে তিনি "হরর ফিল্ম দেখে খুব ভয় পান।" এটা বেশিরভাগ বলিউড-দর্শকদেরই প্রতিক্রিয়া। সম্ভবত, এজন্যই হরর জঁর একটি বিশেষ ঘরানা হয়ে থেকে গিয়েছে, যা সময়ে সময়ে কেবলমাত্র কয়েকজন ঝুঁকি নিয়ে তৈরি করেছে। মূলধারায় এই ধরনের বলিউড ছবির ক্ষেত্রে, বিক্রম ভাটের কথাই মনে পড়ে। তাঁর ভুতুড়ে তত্ত্ব চোখের সামনে আসে, এরপর রাম গোপাল ভার্মাও সমস্ত বিষয়-ভূতে অপ্রাকৃত আগ্রহ তৈরি করেছিলেন।
ভারতীয় হরর ছবিতে এই নাম অত্যন্ত পরিচিত। রামসে ভাইরা আজীবন দর্শকদের মনে এই নাম গেঁথে দিয়েছেন। গত বছর শ্যাম রামসে মারা যাওয়ায় এক যুগের অবসান হয়
পরি (২০১৮)
এ লিস্টার তারকাও একটি ভয়ের ছবির জন্য শিরোনাম আসবে তাতে কিছুটা উন্মাদনা থাকবে এটা তো স্বাভাবিক। অনুষ্কা শর্মা, যিনি এনএইচ ১০- এর রোড ট্রিপে দর্শককে অন্য ধরনের ছবির সঙ্গে পরিচয় করালো হঠাৎ করেই পরী'র মতো আতঙ্কের ছবির জন্য নিজেকে তৈরি করলেন। ইসলামী পৌরাণিক কাহিনী থেকে কোনও হিন্দি ছবি সেলুলয়েডে নিয়ে আসার সংখ্যাটা বিরল, যা পরী'কে উপন্যাসে পরিণত করে।
আরও পড়ুন, লেখকের চরিত্র, লেখকের ভিতরে চলে এলে সেটা ভয়ঙ্কর: রজত কাপুর
টুম্ববাড (২০১৮)
ছবির দুরন্ত দৃষ্টিভঙ্গি এবং তাৎপর্যপূর্ণ সাসপেন্সের সঙ্গে রহি অনিল বার্ভের ডেবিউ সত্যিই আনন্তের। স্বাধীনতার পূর্বে পশ্চিম মহারাষ্ট্রের উপর তৈরি পিরিয়ড ছবি টুম্ববাড।
স্ত্রী (২০১৮)
''এ স্ত্রী, কাল আনা''। মধ্যপ্রদেশের (প্যাডম্যানের পর থেকেই মধ্যপ্রদেশ বলিউডের ম্যাপে) চান্দেরি নামের একটি ছোট শহরে থাকে ভিকি (রাজকুমার রাও)। প্রখর নজর ও বড় হৃদয়ের মানুষ বলেই তার পরিচিতি। সেই ভিকি স্মার্ট, সুন্দরী ও রহস্যময়ী এক মেয়ের প্রেমে পড়া থেকে বাঁচতে পারেনি। যখনই সে আসতে বলে ভিকি পেছন পেছন হাজির, শহরে স্ত্রীয়ের ভয় থাকা সত্ত্বেও, যে কিনা একা ছেলেদের ওপর হামলা করে, তবুও ভিকি যায়।
এক থি ডায়ন (২০১৩)
ইমরান হাশমি, কিসার বয় থেকে চরিত্রায়নে পরিবর্তন আসে এই ছবির জন্যই। এই ছবিতে এক যাদুকর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। যখন পরিস্থিতি খারাপ হয়, তখন তিনি অতীতের সঙ্গে পুনরায় সংযোগ স্থাপনের জন্য মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সন্ধান করেন। অতীতে কোনও ডাইনি ছিল হয়তো, কঙ্কনা সেন শর্মা, হুমা কুরেশি এবং কালকি কোচলিন, ডাইনি কে? স্পয়লারের জন্য সতর্ক না থেকেই বলছি, হাশমির পরিস্থিতি আপনাকে রোমাঞ্চিত করতে পারে।
ডরনা মানা হ্যায় (২০০৩)
রাম গোপাল বর্মার সোনালী দিনগুলির মধ্যে তৈরি এই ছবি। কোনও বলিউড ছবি দেখে সত্যি ভয় পেতে গেলে এই ছবি খুঁজে দেখে ফেলুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন