Trina Saha Audition:বাংলা মেগার অন্যতম পরিচিত মুখ তৃণা সাহা। একাধিক বাংলা সিরিয়ালে কাজ করেছেন। এই মুহূর্তে পরশুরাম ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন। সম্প্রতি নীল-তৃণার দাম্পত্যের অবনতি নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছিল টলিপাড়া। যদিও বিচ্ছেদ চর্চায় বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একসঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন তৃনীল জুটি। স্টুডিওপাড়ার 'পাওয়ার কাপল' নীল-তৃণার বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে উঠেছিল মেগার দর্শকের দর্শকের ড্রইং রুমের চর্চিত টপিক। ধারাবাহিকে অভিনয়ের পাশাপাশি সিরিজ-সিনেমাতেও কাজ করেন তৃণা। কী ভাবে শুরু হয়েছিল আজকের সফল অভিনেত্রী তৃণা সাহার অভিনয় সফর? ফেসবুকের ছবি থেকে অডিশনের প্রস্তাব কী ভাবে পেয়েছিলেন? সৌরভের দাদাগিরিতে এসে জার্নি শুরুর কথা শেয়ার করেন তৃণা। একইসঙ্গে এটাও বলেন, মা-বাবার সাহায্য ছাড়াই নিজের জেদে মাত্র ছ'মাসের কেরিয়ারে দর্শকের ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছিলেন।
তৃণা বলেন, 'আমি কোনওদিন ভাবিনি অভিনেত্রী হব। সেভাবে কখনও ইচ্ছেও ছিল না। পড়াশোনাটাই করতাম, সেটা অবশ্য সম্পূর্ণ বাবা-মায়ের ভয়ে। এমবিএ, সিএস শেষ করেছি। সিএ এন্টার্সও দিয়েছি। এগুলোর পর ভাবলাম আর নয়, এবার নিজের স্বপ্নকে প্রাধান্য দেওয়ার সময় এসেছে। স্বপ্নপূরণ করতে হবে। আমি তিন বছর দিল্লিতে ছিলাম। ওখান থেকে সব ছেড়ে কলকাতায় এসে মা-বাবাকে বললাম আমি চাকরি করতে চাই না। নিজের স্বপ্নটা পূরণ করতে চাই। বাড়িতে তুমুল অশান্তি, খাওয়াদাওয়া- কথাবার্তা প্রায় বন্ধ। ঠিক সেই সময় আমি অপর্ণা সেনের আরশি নগর ছবিতে অবজার্ভার হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব পাই। তখন মনে হচ্ছিল এবার আমি আস্তে আস্তে ডিরেকশনের দিকে যাচ্ছি। শেষবার সৃজিতদাকে জুলফিকরে অ্যাসিস্ট করেছিলাম।'
অভিনেত্রী আরও যোগ করেন, 'ওখানে কাজ করতে করতেই প্রথম অভিনয়ের অফার আসে। বাড়ির পাশেই ছিল, বাবা-মাকে না জানিয়েই অডিশন দিতে গিয়েছিলাম। ফেসবুকের ছবি থেকেই ওই অডিশনের জন্য ডাক পেয়েছিলাম। খুব খারাপ অডিশন দিয়েছিলাম। কিন্তু, জানি না কী ভাবে আমি সিলেক্ট হয়েছিলাম। প্রযোজক আমাকে প্রথমদিনই ওজন কমাতে বলেছিলেন। ওঁর কথাটা আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। তখন আমার ওজন ছিল ৭২ কোজি আর এখন ৫৪।'
তৃণার সংযোজন, 'কাজ শুরুর পর মা-বাবাকে অনেকে বলেছিল ছ'মাস চলবে তারপর চলে আসবে। কিন্তু, ছ'মাস পর আমি আর ফিরলাম না। একদিন দুপুরে ডাব খাওয়ার জন্য মায়ের সঙ্গে গড়িয়াহাট মোড়ে দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু, সেটা আর খাওয়া হল না। আশেপাশের সকলে এমনভাবে আমাকে ঘিরে ধরেছিল, মাত্র ছমাসের কেরিয়ারে এমন ঘটনা! মায়ের তখন আমার জন্য গর্ববোধ হচ্ছিল। আমিও খুব খুশি হয়েছিলাম। এরপর মা-বাবা আমার ইচ্ছেকে সমর্থন করা শুরু করে।'