যেমন বলা তেমন কাজ। কথা দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতিই রাখলেন সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। লকডাউনের সময় ভাইরাল হওয়া 'চা কাকু'র পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময়েই আপদে-বিপদে তাঁর পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। করলেনও তাই। রাখীপূর্ণিমার দিন রাখি পাঠিয়েছিলেন। লকডাউনে কাজ না থাকায় অর্থাভাব যখন চরমে উঠেছিল, তখন খাদ্যসামগ্রী-সহ অত্যাবশকীয় পণ্য পাঠিয়েছিলেন। এবার পুজোর পর বিজয়া দশমীতেও তার অন্যথা হল না। পাটুলির অফিসে যাদবপুর অঞ্চলের শ্রীকলোনীর বাসিন্দা মৃদুল দেব ওরফে 'চা কাকু'র সঙ্গে দেখা করলেন তারকা সাংসদ।
'চা কাকু'র সঙ্গে শুধু দেখাই করলেন না, তাঁর যাবতীয় সুবিধে-অসুবিধের কথাও মন দিয়ে শুনলেন। এই অতিমারী আবহে বহু মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন মিমি চক্রবর্তী। কখনও অভুক্ত পথ কুকুরদের খাওয়ানোর আয়োজন করেছেন, আবার কখনও বা পবিত্র রমজানে খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়েছেন। দাঁড়িয়েছেন দুঃস্থ মানুষদের পাশেও। ঠিক সেরকমই ভাইরাল 'চা কাকু'র দিকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এবার বিজয়ার পর সাংসদীয় কার্যালয়ে ফিরে তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন। শুধু তাই নয়, সারলেন মিষ্টিমুখও।
করোনা পরিস্থিতিতে যথাযথ নিয়ম মেনে সাংসদীয় কাজ করা খানিক দুষ্কর হলেও, সমস্তরকম সতর্কতা অবলম্বন করেই পাটুলির অফিসে এসেছিলেন সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। সেখানেই শ্রীকলোনীর বাসিন্দা মৃদুল দেব এসে দেখা করলেন সাংসদের সঙ্গে। কুশল-মঙ্গল জিজ্ঞেস করার পাশাপাশি সমস্ত সুবিধে-অসুবিধে নিয়েও কথা বললেন। শুধু যে মৃদুলবাবুর সঙ্গে দেখা করেছেন, এমনটা নয়। বরং এলাকার বেশ ক'জন মানুশের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের সুবিধে-অসুবিধে খতিয়ে দেখার কথা বলেন মিমি চক্রবর্তী।