TV Actress Facebook Post: পটল কুমার গানওয়ালায় পটলের মা, দেশের মাটিতে নোয়ার মা এবং ধুলোকনায় মেজ মামী ওরফে চান্দ্রেয়ী। যত দিন গড়াচ্ছে, ছোট পর্দায় পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছে অনিন্দিতা রায় চৌধুরী। তবে শুধু ছোটপর্দা নয়, বড় পর্দায় তাঁর সমান বিচরণ। প্রলয় ছবি থেকে ক্রিসক্রস, ছোট হলেও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী। প্রায় ১০ বছর অভিনয় আর অনিন্দিতা সমার্থক। এক সময় সহ-পরিচালক হিসেবে হাতেখড়ি হলেও, এখন অভিনয় তাঁর প্যাশন এবং নেশা। কিন্তু ছোট পর্দার অভিনেতা হিসেবে মাঝে মধ্যেই মশকরা-ব্যাঙ্গের শিকার তিনি। শুধু তিনি নয়, ট্রোলিংয়ের কবলে ছোট পর্দার অন্য কলাকুশলীরাও। আর এবার সেই সোশাল মিডিয়া ট্রোলিং নিয়ে সহকর্মীদের পাশে থেকে রুদ্রমূর্তি ধারণ করলেন ধুলোকনার মেজ মামী।
নিজের ফেসবুকে অনিন্দিতা লেখেন, 'আমি গত দশ বছরে ক্যামেরার পিছনে যতটুকু কাজ করেছি তার মধ্যে যেমন সিনেমা ছিলো, তেমনই টিভিও ছিলো! এবং আমি আমার ক্ষুদ্র অভিনয় জীবনে যতটুকু কাজ করেছি, তার বেশিরভাগই টেলিভিশন বা ছোট পর্দায়। অবশ্যই আরও অনেকের মতো তা নিয়ে আমার কোনও লজ্জা নেই। কোনো অডিশনে আমি সেটাই বলি। অনেক ভালো কাজ করার স্বপ্নও দেখি। কিন্তু ভালো কাজের সঙ্গে (আমার স্বল্প জ্ঞান অনুযায়ী) টিভি কিংবা সিনেমায় কাজের কোনো সংঘাত নেই। অবাক লাগে যখন কাউকে ছোট পর্দায় কাজ করা নিয়ে ব্যাঙ্গ করতে দেখি। বিশেষ করে তাঁরা যখন এই শিল্প জগতেরই এক একজন কারিগর। সে যে ক্ষেত্রেরই হোন না কেন, ক্যামেরার পিছনে বা সামনে!’
এখানেই শেষ নয়। সুর চড়িয়ে তিনি আরও লেখেন, ‘শুধুমাত্র সামাজিক মাধ্যমে নিজেকে উচ্চশিক্ষিত, অভিজাত এবং আমি ছাড়া বাকি সব খারাপ প্রমাণ করার চেষ্টাটা বড্ড বোঝা যায় আসলে!’ এই পোস্টের শেষের দিকে তাঁর খোঁচা, ‘আপনার জীবন আপনার পছন্দ। ধন্যবাদ।‘ দিন কয়েক আগে ছোট পর্দার আরও এক অভিনেত্রী শ্রুতি দাস ওরফে দেশের মাটির নোয়া ফেসবুক ট্রোলিংয়ের শিকার হয়েছিলেন। তাঁর গায়ের রঙ নিয়ে বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য শুরু করেন নেটিজেনরা। সেই সময়েও সরব হয়েছিলেন অনিন্দিতা। সব খোঁচার জবাব দিয়েছিলেন ফেসবুকেই।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন