বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) কুরুচিকর আক্রমণ করায় অভিনেত্রী কঙ্গনার রানাউতের (Kangana Ranaut) টুইটার হ্যান্ডেল বন্ধ করা হল। একাধিক উস্কানিমূলক টুইট করা হয় রবিবার ফল ঘোষণার পর থেকে। শেষ টুইটে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিজের গুজরাত দাঙ্গার রূপ দেখানোর বার্তা দেন কঙ্গনা। তার জেরেই টুইটারের পক্ষ থেকে শাস্তিস্বরূপ চিরতরে কঙ্গনা রানাউতের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে পাল্টা দিতে ছাড়েননি স্বঘোষিত বিজেপি সমর্থক অভিনেত্রীও। 'কন্ট্রোভার্সি ক্যুইনের' হুঁশিয়ারি, "এবার থেকে সিনেমার পর্দাতেই প্রতিবাদ করব।"
"আমার প্রতিবাদ করার আরও অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। সেখানেই আওয়াজ তুলব। এমনকী এবার থেকে সিনেমার মাধ্যমেই প্রতিবাদ করব", টুইটারকে পাল্টা হুঁশিয়ারি কঙ্গনার।
প্রসঙ্গত, এর আগেও কঙ্গনার টুইটার হ্যান্ডেল সাসপেন্ড করা হয়েছিল। ওয়েব সিরিজ তাণ্ডব নিয়ে প্ররোচনামূলক টুইট করায় কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ করা ছিল তাঁর অ্যাকাউন্ট। এমনকী, NRC, CAA নিয়ে দিল্লির সাম্প্রদায়িক হিংসা তথা তবলিঘি জামাত নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার জন্যও কঙ্গনা ও তাঁর দিদি তথা ম্যানেজার রঙ্গোলি চান্দেলের টুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করা হয়েছিল। অভিযোগ, তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ার নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন। যার জেরে এখনও কঙ্গনার মাথায় মামলার খাড়া ঝুলছে। কিন্তু তাতে কী! দমবার পাত্রী তিনি নন। খানিক জোর করেই সব বিষয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন। মাশুলও গুনতে হয়। এবার তার অন্যথা হল না। চবে এবার একেবারে চিরকালের জন্য কঙ্গনার টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল টুইটার কর্তৃপক্ষ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, কঙ্গনা টুইটারের কোনও নিয়মই মানছিলেন না।
উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election 2021) বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের বিপুল জয়ের পর বলিউডের ‘কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন’-এর মন্তব্য, “বাংলাদেশি আর রোহিঙ্গারা মমতার সবথেকে বড় শক্তি।” এখানেই অবশ্য থেমে থাকেননি তিনি। তৃণমূল সুপ্রিমোকে ‘ভিলেন’ আখ্যা দিয়ে রাহুল গান্ধীর সঙ্গেও তুলনা টেনেছেন।
পদ্ম শিবিরকে সমর্থন জানাতে গিয়ে বাংলার মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছেন বলিউড অভিনেত্রী, এমন অভিযোগ তুলেই সোমবার কলকাতা পুলিশে FIR দায়ের হয়েছে কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে। হাইকোর্টের আইনজীবী সুমিত চৌধুরী ই-মেল মারফত ‘ক্যুইন’ কঙ্গনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেসবের জেরেই এবার টুইটার হ্যান্ডেল বন্ধ করে দেওয়া হল। অনেক সেলেবই কঙ্গনার টুইটার (Twitter) হ্যান্ডেল সাসপেন্ড হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।