যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরাজি অনার্সের ছাত্র। সদ্য বড়পর্দায় ডেবিউ করতে চলেছেন। পড়াশোনা সামলে প্রমোশনের একটু ঝক্কি পোহাতে হচ্ছে বটে কিন্তু ক্লান্তির লেশমাত্র নেই। আন্দাজ করতে পারছেন কার কথা বলছি? কথা হচ্ছে 'রসগোল্লা' ছবির মুখ্য চরিত্রকে নিয়ে। সময় বার করে উজান গঙ্গোপাধ্যায় আড্ডা দিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে।
প্রথম ছবি সেখানে 'রসগোল্লা'-র বিষয় ছবি বাছলে কেন?
প্রথমবার ছবির নাম রসগোল্লা শুনে ভেবেছিলাম কি নিয়ে হবে ছবিটা? বিষয়টা অধিকাংশ বাঙালির জানা নেই, আমারও জানা ছিলনা নবীনচন্দ্র দাস কি করেছেন? পরে শিবু মামা (শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়) মাকে ফোন করে বলেছিল, "ওকে একবার অফিসে পাঠাও"। তারপর অডিশন, অবশেষে ছবিটা করলাম। সত্যি বলতে মানসিকভাবে তৈরি ছিলাম না। তবে অডিশনে এসে গল্প শুনে সিন পড়ে ঠিক করেছিলাম ছবিটা করব।
ট্রেলার বেরোনোর পর সহপাঠীদের কাছ থেকে কেমন প্রতিক্রিয়া পেয়েছিলে?
দেখ! দুটো ভাগে প্রতিক্রিয়াটা এসেছিল। একটা হচ্ছে যে, কী রে রসগোল্লা। আমাকেই রসগোল্লা বানিয়ে ফেলেছে। অন্য একটা ভাগ রয়েছে যারা ট্রেলার বেরোনোর পরে সারাক্ষণ শেয়ার করেছে, কমেন্ট করছে। খুব খুশি ব্যপারটা নিয়ে। হিরো, হিরো করে খেপাচ্ছে।
এটা কতটা এনজয় করছ?
খুবই। প্রথমবার ক্লাসে ঢুকেছি সবকিছু দেখেই মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি (হাসি)। আসলে কোনও নোটস নেওয়া ছিলনা তো, যে মিলিয়ে দেখব। যেহেতু প্রথমবার তাই জানিনা রিঅ্যাকশনটা কীআসে। ফলে যা আসছে আমি তাতেই আনন্দ পাচ্ছি।
অভিনয় কী কেরিয়ার হিসাবে নেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে?
সব ভাল গেলে হোয়াই নট! অনেক ফ্যাক্টরস আছে। তারা যদি হাতে হাত মিলিয়ে বলে যে, হ্যাঁ তুমি করতে পারো এটা। তাহলে হবে। আর যদি না হয় তার জন্য অস্ত্র তৈরি করে রাখা এই যা। একটা দ্বিতীয় নকশা এঁকে রাখা। কারণ ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়, শিল্পের দিকে মন দেওয়া যায় তখনই যখন আর্থিক দৃঢ়তা থাকে।
অবন্তিকার সঙ্গে সমীকরণটা কেমন?
ওকে আমি শ্রদ্ধা করি। কারণ, সারল্যটাকে ও সত্যি সত্যি ধরে রাখতে পেরেছে। ওর বেড়ে ওঠার কারণেই মনে হয় আমার থেকে ১৮৬০-এর বেশি কাছে অবন্তিকা। শাড়ি পড়ে সাঁতার কেটেছে, সারাদিন খাটাখাটনি করতে হয়েছে। প্রিয় বোন বলতে পার। সারাক্ষণ বকাঝকা করতাম। তাও পড়াশোনা নিয়ে।
বাবা-মায়ের কেমন লেগেছে?
বাবা ইমোশনাল হয়ে পড়েছিল। এটা তাদের দুজনের কাছেই ল্যান্ডমার্ক মূহুর্ত। তবে চিন্তিতও হয়ে রয়েছে। মিশ্র প্রতিক্রিয়া বলতে পারেন।
প্রিমিয়ার নিয়ে টেনশনে?
বাপ রে বাপ! টেনিস ম্যাচে নেটের ওপরে যে অফিসিয়ালরা বসে থাকেনা যাদের সারাক্ষণ বাঁ দিক-ডানদিক করতে হয়। আমারও সেই দশাই হবে। দুজনের মাঝে বসার ইচ্ছে রয়েছে, যাতে প্রতিক্রিয়াগুলো দেখতে পারি।