উমা দাশগুপ্ত মারা গিয়েছেন। সকাল থেকেই ইন্ডাস্ট্রির মন খারাপ। সত্যজিৎ রায়ের দুর্গা হিসেবে তাঁকে দেখা গিয়েছিল পথের পাঁচালী ছবিতে। পরবর্তীতে, সত্যজিৎ রায়কে নিয়ে অপরাজিত ছবি বানিয়েছিলেন অনীক দত্ত। যেখানে জিতু কামালকে দেখা গিয়েছিল কিংবদন্তি পরিচালকের ভূমিকায়।
আজ উমা দাশগুপ্তর মৃত্যুতে ভেসে আসছে, সেসব স্মৃতি। সাদা রঙের শাড়ি, হাঁটু অবধি ভাই অপুকে নিয়ে রেলগাড়ি দেখার দৃশ্য আজও ভোলেনি বাঙালি। সেই মানুষটি আর নেই। একথা অনেকেই জানেন, অনীক দত্তর ছবিতে উমা দাশগুপ্তর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁর মেয়ে। অপরাজিত দেখে, তাঁর বেশ কিছু সমস্যার উল্লেখ করেছিলেন তিনি।
কিন্তু না, আজ যখন সেই মানুষটা আর নেই তখন তাঁর সঙ্গে অনীক দত্তর সাক্ষাৎ হয়েছিল কিনা সেই বিষয়ে জানতে যখন ফোন করা হয়েছিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তরফে, তখন তিনি সাফ জানান, উমা দেবী কারওর সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করতেন না। আমার সঙ্গেও তাঁর সেভাবে দেখা হয়নি। কিন্তু, যে সমস্যা তিনি উল্লেখ করেছিলেন সেই প্রসঙ্গে তিনি জানান...
"আমি কানাঘুষো শুনেছিলাম যে, উনার চরিত্রটা নিয়ে নাকি অনেকেই আপত্তি জানিয়েছিলেন অপরাজিতা ছবিতে। কিন্তু, সেটা তো আমার দোষ নয়। আমি শুনেছিলাম শর্মিলা ঠাকুর এবং উমা দাশগুপ্তকে নিয়ে কিছু একটা কনফিউশন ছিল। আমি কিন্তু, বিজয়া রায়ের লেখা বই থেকে বিষয়টা স্ক্রিনে ফুটিয়ে তুলেছিলাম। পরে শুনেছিলাম, উনার মেয়ে নাকি বলেছিলেন বিজয়া রায় অনেক বয়সে তো বইটা লিখেছেন, হয়তো কিছু মিস হয়ে গিয়েছে।"
এখানেই শেষ না। মাধবী মুখোপাধ্যায় এর কাছে যখন ফোন গিয়েছিল তাঁর সম্পর্কে জানতে। তিনি যেন আকাশ থেকে পড়লেন। অভিনেত্রী উমা দেবী মারা গিয়েছেন শুনে তিনি স্তম্ভিত। বললেন, "আমার সঙ্গে উনার কাজ হয়নি। সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে তাঁকে নিয়ে কথাও হত না। কিন্তু, আমি এটুকু বলতে পারি, যে কয়েকটা অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছে, সেখানে একদম অল্পস্বল্প কথা হত। দারুণ, আইকনিক একটা চরিত্র ও অভিনয় করেছিল, সে তো এখনও অনেকে মনে রেখেছে। আমি সত্যিই জানতাম না যে উনি অসুস্থ হয়েছিলেন। আমার খুব খারাপ লাগছে। সত্যিই খারাপ লাগছে। "
উল্লেখ্য, তাঁর মৃত্যুতে তাঁর অনস্ক্রিন ভাই অপু অর্থাৎ সুবীর বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আমি আর ও দুজনেই ওই ছবির পর আর সিনেমা করিনি।