মঙ্গলবার দুপুরে টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োতে আলোচনায় বসেছিল ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যাসোসিয়েশন, আর্টিস্ট ফোরাম, ফেডারেশন অব সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া এবং ওয়েলফেয়ার অব অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন প্রোডিউসার্স। কিন্তু পাঁচ ঘন্টার দীর্ঘ বৈঠকের পরও শুটিং কবে থেকে শুরু হবে এই সিদ্ধান্তে আসা গেল না। এদিন তিনটে নাগাদ বসা বৈঠকে মূলত কথা হয় ধারাবাহিক নিয়েই।
সিনেমা নিয়ে এদিন খুব গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়নি। সমস্ত নিয়মবিধি মেনে কীভাবে শুটিং করা সম্ভবপর তা নিয়েই কথা হয় সংগঠনগুলির মধ্যে। চুম্বন বা ঘনিষ্ঠদৃশ্য এড়িয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সহমত প্রায় প্রত্যেকেই। ৬৫ বছরের বেশি বয়সের অভিনেতাদের নিয়ে এখনই কাজ শুরু না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে ১০ বছরের নীচে অভিনেতাদের নিয়ে এখনই কাজ করা যাবে কিনা সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। ফ্লোরে একসঙ্গে ৬জন শিল্পী থাকতে পারবেন এবং সর্বোপরি পুরো ইউনিটে ৩৫ জনের বেশি সদস্য থাকবেন না।
আরও পড়ুন, চিত্রনাট্যের বাঁধনেই পোক্ত বিদ্যার ‘নটখট’
অন্যদিকে আর্টিস্ট ফোরামের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়, শুটিং চলাকালীন কোনও শিল্পী করোনা আক্রান্ত হলে তাঁর চিকিৎসার দায়িত্ব প্রযোজনা সংস্থাকে নিতে হবে। আর কোন শিল্পীর মৃত্যু হলে ক্ষতিপূরণ বাবদ ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। কিন্তু তা দিতে রাজি নন প্রযোজকরা। তবে আগামী ৪ জুন সমস্ত বিষয়ে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে মিটিংয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অপেক্ষায় বিনোদন দুনিয়া।
প্রসঙ্গত, নবান্ন থেকে জানানো হয়েছে, ১ জুন থেকে শুরু করা যাবে যাবতীয় শুটিং। কিন্তু ইন্ডোরে ও আউটডোরে সর্বাধিক ৩৫ জন কর্মী নিয়ে কাজ করতে হবে। এখানেই শেষ নয়, বাধ্যতামূলক করা হয়েছে স্যানিটাইজেশন ব্যবস্থাকে। তারপরেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেয় টলিপাড়া। কিন্তু এত অনুমতি মিললেও জট কাটিয়ে কবে শুটিং শুরু করবে টলিপাড়া তার সদুত্তর মেলেনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন