"সমাজের প্রত্যেকের মধ্যে যদি এই শক্তিটা থাকত, যে কোনও দমবন্ধ করা পরিবেশ থেকে নিজেকে বের করতে পারত, তাহলে কেমন হত? সেটাই এক নারীর দৃষ্টিকোণ থেকে দেখাতে চেয়েছি।"
গ্রীক পুরাণ অনুযায়ী, ইউনির্কন ছিল বিশেষ শক্তির অধিকারী। এবার এই নামটাই জড়িয়ে গেল তথাগত-দেবলীনার সঙ্গে। তাহলে মনে হতেই পারে, এই তারকা জুটি কি আবার কোনও নতুন গল্পে অভিনয় করতে চলেছেন? ঠিক দিকেই এগোচ্ছিলেন, কিন্তু একটু ভুল হয়ে গেল। এই গল্পের ধারক, অর্থাৎ পরিচালক, অভিনেতা তথাগত মুখোপাধ্যায়। বিগত একবছর ধরে এই গল্পের বুনন তাঁরই হাতে ধরে। আর দেবলীনা! ছায়াসঙ্গিনী হয়ে তা বাস্তবায়িত করতে সাহায্য করেছেন নানা রূপে। বিশেষত তাঁর অভিনয় প্রতিভায়।
Advertisment
ছবিতে অপালার ভূমিকায় দেবলীনা দত্ত, এবং আরও এক মুখ্য চরিত্রে চিরঞ্জিত, অন্যদিকে পরিচালক তথাগত। ছবি সৌজন্যে: পিএসএস এন্টারটেইনমেন্ট
এক বিবাহিতা, আদ্যন্ত শহুরে, কর্মরতা মেয়ে। জীবনযুদ্ধে প্রতিনিয়ত নিজেকে প্রমাণ করে চলেছে সে। এই সবের চাপেই আস্তে আস্তে চলে যান সমাজের অজানা কিন্তু তাঁর ভীষণ চেনা এক নকসিকাঁথার দেশে। বাস্তবকেও অস্বীকার করেন তখন। এই নিয়েই তথাগতর স্বাধীনতার গল্প। পরিচালকে কথায়, "ছবিটা মুক্তির। সে কারণেই 'সলিটরি রিপার' কবিতাটা মুক্তির গান হিসাবে ব্যবহার করেছি। ইউনিকর্নকে বর্তমান পৃথিবী স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করে, তাই এখানে ছবির নামটা রেখেছি তার নামে। আসলে সমাজের প্রত্যেকের মধ্যে যদি এই শক্তিটা থাকত, যে কোনও দমবন্ধ করা পরিবেশ থেকে নিজেকে বের করতে পারত, তাহলে কেমন হত? সেটাই এক নারীর দৃষ্টিকোণ থেকে দেখাতে চেয়েছি।"
সবটা ভুলে যাওয়ার চেষ্টা, না ভুলে গিয়েছে অপালা? সেই খোঁজেই সে পৌঁছয় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিরঞ্জিতের কাছে। আর এদিকে ছবির প্রয়োজনে কী না করেছেন তথাগত, ক্যামেরাও ধরেছেন। বিশেষ করে বিদেশে জলের তলার শুটিং তাঁরই করা। আপাতত মুক্তি পেয়েছে ছবির ট্রেলার ও পোস্টার। ছবির প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছে পিএসএস এন্টারটেইনমেন্ট ও প্রমোদ ফ্লিমস। কোথায় বা কবে মুক্তি পাবে তা অবশ্য এখনও ঠিক হয়নি। এবং এতে নারী স্বাধীনতা কতটা এগোবে জানা নেই, কিন্তু একটা দৃপ্ত পদক্ষেপ যে নেওয়া হয়েছে তা আলবাত বোঝা যাচ্ছে।