একেই চারদিকে করোনার হাহাকার। প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে মৃত্যু মিছিল। করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও নেহাত কম নয়! এইমুহূর্তে গোটা বিশ্বে শীর্ষস্থানে ভারত। বিনোদুনিয়াতেও মারণ ভাইরাসের কোপে মৃত্যু ঘটেছে একাধিক ব্যক্তিত্বের। এরমাঝেই অভিনেতা অমিত মিস্ত্রীর (Amit Mistry) প্রয়াণের খবর প্রকাশ্যে এল। হিন্দি ও গুজরাতি ফিল্মের জনপ্রিয় মুখ তিনি। সম্প্রতি তাঁকে দেখা গিয়েছে অ্যামাজন প্রাইমের 'বন্দিশ ব্যান্ডিটস'-এও। সেই খ্যাতনামা অভিনেতাই শুক্রবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন। এদিন সেই খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শোকের ছায়া বলিমহলে।
বৃহস্পতিবারই ইহলোকের মায়া ত্যাগ করেছেন খ্যাতনামা বলিউড সঙ্গীত পরিচালক শ্রবণ রাঠোর। আর তার পরদিনই বিশিষ্ট অভিনেতা অমিত মিস্ত্রীর মৃত্যু। 'কেয়া কহেনা', 'এক চালিশ কি লাস্ট লোকাল', 'শোর ইন দ্য সিটি', 'ইয়ামলা পাগলা দিওয়ানা', 'বে ইয়ার', 'এ জেন্টলম্যান'-এর মতো একাধিক হিন্দি ছবিতে অমিতের কাজ নজর কেড়েছে দর্শকদের। বিশেষ করে উল্লেখ্য, 'বন্দিশ ব্যান্ডিটস'-এ তাঁর চরিত্র। বিভিন্ন বিজ্ঞাপনেও তাঁর মুখ দেখা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই সিনে অ্যান্ড টিভি অ্যাসোসিয়েশন (CINTAA)-এর তরফে টুইট করে অমিতের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করা হয়েছে। অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, "CINTAA অমিত মিস্ত্রির মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোকাহত। ২০০৪ সাল থেকে এই সংস্থার সদস্য ছিলেন তিনি।"
প্রসঙ্গত, অমিতের সহকারী মহর্ষি দেশাই-ই প্রথম অভিনেতার মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আনেন। তিনি জানান, কোনও রকম শারীরিক অসুস্থতা ছিল না অমিতের। একদমই সুস্থ ছিলেন তিনি। এদিন প্রাতঃরাশের পর আচমকাই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। তড়িঘড়ি হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেওয়া হয় তাঁকে নিয়ে। তবে যাওয়ার আগে মাঝ রাস্তাতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অমিত মিস্ত্রী।
অভিনেতার অকাল প্রয়াণে শোকাহত তাঁর সহকর্মীরাও। অনেকেই বলছেন, শেষবার যখন দেখা হয়েছিল, তখনও পুরোপুরি ঠিক ছিলেন অমিত। কোনও অসুস্থতার লক্ষণ ছিল না তাঁর। অভিনেতার ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রযোজক মাহির খান মুম্বইয়ের এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দিন দশেক আগে অমিতের সঙ্গে যখন কথা হয়েছিল, মাহির নতুন কাজ করছেন কিনা তা জানতে চেয়েছিলেন অমিত। বন্ধুর সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছেও প্রকাশ করেছিলেন অভিনেতা। তবে সেই ইচ্ছে অপূর্ণই রয়ে গেল।