Uronchondi Bangla Movie: অনেক অপেক্ষার পর মুক্তি পাচ্ছে ‘উড়নচণ্ডী’। ছোটুর চরিত্রে অভিনেতা খুঁজে বের করা থেকে প্রযোজক প্রসেনজিতের বকুনি খাওয়া, সব রয়েছে এই ছবি তৈরি হওয়ার নেপথ্যে। এবার উড়নচণ্ডী নিয়ে গল্প দাদুর আসর মাতালেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী।
‘উড়নচণ্ডী’ বললে আপনার মাথায় প্রথম কী আসছে?
টেনশন (হাসি)। আমার জন্য কম, অভিষেকের (স্বামী এবং ছবির পরিচালক অভিষেক সাহা) জন্য বেশি। বাবি (অমর্ত্য) ও চিনির (রাজনন্দিনী) জন্য, যেহেতু আমি ওদেরকে খানিকটা তৈরি করার চেষ্টা করেছি। মানে বাংলা ছবিতে নতুন পরিচালক, নতুন জুটি দর্শক কীভাবে নেবেন সেটা ভেবেই চিন্তিত আর কী।
এই ছবির জার্নিটা কতটা অন্যরকম?
একদম আলাদা। কোন ছবির ক্ষেত্রে এতটা আর্লি স্টেজ থেকে তো থাকি না। যখন থেকে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে আমি তখন থেকে রয়েছি। গল্প নিয়ে মারামারি, চুলোচুলিরও সাক্ষী আমি (হাসি)। বুম্বাদার মত প্রযোজক পাওয়া, শেষমেশ ছবিটা হওয়া। সবচেয়ে বেশি চিন্তা ছিল খুদেকে রেখে (সুদীপ্তার মেয়ে) যাওয়া অতদিনের জন্য আউটডোর।
মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিলেন?
না না! ওকে মা আর দিদির (বিদীপ্তা) তত্ত্বাবধানে রেখে গিয়েছিলাম। ছবিতে সবচেয়ে বেশি যোগদান আমার মেয়ের (হাসি)। বেচারা লক্ষ্মী মেয়ের মত পনেরো দিন ছিল, এটাই অনেক। আমরা তো ফোন করলেও ভয়ে কথা বলতাম না ওর সঙ্গে।
আউটডোরের অভিজ্ঞতা…
ভীষণ ভাল। তবে চিন্তায় ছিলাম, এত কম দিনে এত বড় স্কেলে শুট করা। তারপর লরি নিয়ে কারবার, তারওপর অভিষেক যা বড় বড় শট নিয়েছে, একটা এনজি হওয়া মানে আবার লরিটাকে এগারো কিলোমিটার পেছোতে হবে। তবে ১৩ দিনে আউটডোর শেষ করেছি। টিম এতটাই পজিটিভলি কাজ করেছে।
গল্প শোনাতে গিয়ে প্রযোজক রাজি...
আমি কোথাও একটা যাচ্ছিলাম, সম্ভবত নাটকের শো ছিল বাইরে। অভিষেক ফোন করে বলল, বুম্বাদা বলছে আমরা তাহলে এটা নিয়ে কীভাবে এগোব? ভেবেছিলাম আমরা মানে? আমাদের আইডিয়া ছিল তো সিনিয়র, উনি বলে দিতে পারবেন কার কাছে গেলে এই ধরনের ছবি তারা প্রোডিউস করবে। ভাবিনি বুম্বাদা নিজেই করবে কাজটা।
আর ছোটুও তো আপনিই খুঁজে এনেছেন?
খোঁজ মানে? ছোটু যা খোঁজা হয়েছে! শুধু টর্চ নিয়ে রাস্তায় বেরোতে বাকি ছিল আমার। আমি যাদেরকে চিনি প্রত্যেককে ফোন করে করে বলেছিলাম বাচ্চা ছেলের সন্ধান থাকলে বল, বয়সে ছোট অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টরদেরও দেখেছি। বুম্বাদার যাও বা দু একজনকে পছন্দ হয়, অভিষেকের তো মনে ধরে না। অবশেষে র্যান্ডম ফেসবুক থেকে ছেলে খুঁজতে শুরু করি। বাবির (অমর্ত্য) প্রোফাইলে যেতেই পরিচালক বলে উঠল, এই তো আমার ছোটু!মাঝখান থেকে রাজনন্দিনীকে প্রচুর অডিশন দিতে হয়েছে। প্রতিদিন ও আসে আর বেচারার হিরো বদলে যায়!
আরও পড়ুন, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় প্রযোজনা করবেন শুনে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম: অভিষেক সাহা
এই ছবিতে অভিনয় করবেন না বলে তো বকুনি খেয়েছেন প্রযোজকের...
আমার একটা দোনামনা ছিল, এই ছবিতে অভিনয় করাটা বোধহয় ঠিক হবে না। কাটিয়েই দিচ্ছিলাম ব্যাপারটাকে। তারপর বকুনি খেলাম, বর ডিরেক্টর বলে কাজ করবি না এটা কোনও যুক্তি হতে পারে না। বুম্বাদা বলল, তুই না করলে কে করবে? এই চরিত্রটা খুঁজে দে। আর নইলে বম্বে থেকে বিন্দিকে আনাতে হবে, কিন্তু আমার অত পয়সা নেই।
দর্শককে 'উড়নচণ্ডী' নিয়ে কী বলবেন?
অন্য ধরনের কথাটা না অতিব্যবহারে ক্লিশেড হলেও এটাই বলতে হবে। রোড মুভি, বাংলায় নতুন জঁর খুলছে। আমি যা ছবিটা দেখতে পাচ্ছি তাতে আমার তো তাই মনে হচ্ছে। নতুন দুটো ছেলেমেয়ে, কিন্তু কাজ দেখলে বোঝা যাবে না। সত্যি কথা বলার জন্য আমার বদনাম আছে, তাও পক্ষ না নিয়ে বলছি, নতুন পরিচালক কিন্তু খুবই সম্ভাবনাময় পরিচালক।