শরীরের ঊর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত। পরনে সাদা জামদানি। গয়না বলতে একটা নাকছাবি মাত্র। অলঙ্কারের বালাই নেই। কাজল কালো চোখ। কাঁধের ওপর এলিয়ে দিয়েছেন খোলা চুল। টেলিদর্শকদের চেনা জুন আন্টিকে এহেন অবতারে দেখে হতবাক নেটজনতা। যেন কারও 'বিনোদিনী' হওয়ার অপেক্ষায় বসে রয়েছেন পালঙ্কে। কমেন্ট বক্সেও প্রশংসার জোয়ার। 'বিনোদিনী' অবতারে এককথায় সোশ্যাল মিডিয়ায় উষ্ণতা ছড়ালেন ঊষসী চক্রবর্তী (Usashie Chakraborty)।
Advertisment
ক্যাপশনও মন জোড়ানো। লিখেছেন- "তার লাগি পথ চেয়ে আছি পথে যে জন ভাসায়…।" অভিনেত্রীর ঝলসানো রূপের চর্চা সোশ্যাল মিডিয়ায় সর্বত্র। 'শ্রীময়ী' ধারবাহিকের জুন আন্টিকে যতই না-পসন্দ হোক না কেন, বাস্তবের ঊষসীকে যে অনুরাগীরা বেজায় পছন্দ করেন, তা কমেন্ট বক্সে চোখ রাখলেই ঠাহর করা যায়।
আসলে জুন আন্টির ভিন্ন অবতার দর্শকের সামনে আনতেই ঊষসীর এহেন কাণ্ডকারখানা। খানিক রসিকতার ছলেই আসলে। তাঁর আশঙ্কা, যদি দর্শকদের একঘেয়েমি চলে আসে দেখতে, তাহলে? তাই বিরহিনী বিনোদিনীর মতো ক্যামেরার সামনে ধরা দিয়েছেন ঊষসী।
টেলিপর্দাতে দর্শকদের মাতিয়ে রাখার পাশাপাশি ‘জুন আন্টি’ কিন্তু মাস দুয়েক আগেই ডঃ ঊষসী চক্রবর্তী হয়েছেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেছেন। অতঃপর তিনি এখন শুধু একজন অভিনেত্রী নন, পাশাপাশি ডক্টরেটও। সেই সুখবর নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়েছিলেন অনুরাগীদের সঙ্গে।
প্রসঙ্গত, ছোট থেকেই মেধাবী পড়ুয়া ঊষসী চক্রবর্তী। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেছেন অর্থনীতিতে। আবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। পাশাপাশি সমান তালে অভিনয়ও চালিয়ে গিয়েছেন। তবে পড়াশোনা থামাননি। ইচ্ছে ছিল পিএইচডি করার। সেটাও পূরণ হয়ে গিয়েছে। তবে অভিনেত্রীর একটাই আফশোস যে, এই দিনটি তাঁর বাবা বামপন্থী জমানার ডাকসাইটে নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল চক্রবর্তী দেখে যেতে পারেননি। কারণ, বাবার তাড়নাতেই তড়িঘড়ি গবেষণাপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু জীবনের এমন সাফল্যের দিনে সেই মানুষটিকেই পাশে পাননি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন