বাংলায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেও এই মাটিতে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে না। উস্তাদজী গতকাল বিকেল তিনটে পঁয়তাল্লিশ মিনিটে পরলোকগমন করেন। তাঁর শারীরিক অবনতির খবর পেয়ে দৌড়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী খোদ।
আজ সকাল ৯টা থেকে উস্তাদ রশিদ খানের মরদেহ শায়িত রাখা হয় রবীন্দ্র সদনে। সেখানে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী থেকে হৈমন্তী শুক্লা অনেকেই। সুরের দুনিয়ার এক বিরাট মানুষ ছিলেন তিনি। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান তাঁর অনুরাগীরাও। সবশেষে তাঁকে গান স্যালুট জানানো হয় সরকারের তরফে। তখন থেকেই খবর ছিল কলকাতায় না, বরং শেষকৃত্য হবে তাঁর জন্মভিটায়।
আরও পড়ুন - Ustad Rashid Khan: বাংলাকে ভালবেসে ফেরা হয়নি ‘দেশের’ বাড়ি, সেই বাংলাতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ পদ্মভূষণ শিল্পীর
শিল্পীর পরিবারের তরফে এমন ইচ্ছেই প্রকাশ করা হয়েছিল। বাদাউন গ্রামে যেখানে তাঁর জন্ম। সেখানেই তাঁকে কবর দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তারা। এবং পারিবারিক পরম্পরা বজায় রেখে এবার সেটাই হতে চলেছে। পৈতৃক বাড়িতেই শেষ সমস্ত নিয়ম মেনে তাঁকে বিদায় জানানো হবে। প্রথমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যে কলকাতায় টালিগঞ্জের কাছে তাঁকে সমাধিস্থ করা হবে। তবে, পরে সেই সিদ্ধান্তে বদল আনা হয়েছে।
সূত্রের খবর, উস্তাদজীর মরদেহ আজ রাত ৯টা নাগাদ বিমানে করে উত্তরপ্রদেশ নিয়ে যাওয়া হবে। আর যদি রাত ৯টার আগে সমস্ত কাজ এবং নিয়ম সম্পূর্ন হয়ে যায় তবে তাঁর আগেও যাত্রা করা যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে পরিবারের তরফে। কিছুদিন ধরেই সংকটজনক ছিলেন তিনি। ভুগছিলেন প্রোস্টেট ক্যানসারে। পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন চিকিৎসকরা। তবে, শেষরক্ষা হল না। মাত্র ৫৫ বছরেই থামল ধ্রুপদী সঙ্গীতের একদিক।