Ustad Zakir Hussain facts: ৩ বছর বয়সে হাত রেখেছিলেন তবলায়, জাকির হুসেনের এই অজানা দিকগুলো অবাক করবেই...

থামল তবলার বোল। থামল জাকির হোসেনের আঙুলের তালে তালে সেই রিদমের ঝংকার। স্বর্গে মহাদেব ডোমরুর সঙ্গে কিভাবে নাচেন, এমন বোল তবলায় যদি কেউ সৃষ্টি করতে পারেন তাহলে সেটি জাকির হোসেন। তাঁকে ভারতের উজ্জ্বল কোহিনূরের সঙ্গে তুলনা করা হত। গতকাল রাতেই সান ফ্রান্সিসকোতে প্রয়াত শিল্পী।

তাঁর জীবনের অজানা বেশ কিছু গল্প আছে। এই যেমন মাত্র ৩ বছর বয়সে তিনি শুরু করেন তবলা সঙ্গদ। বাবার কাছেই নিতে শুরু করেন প্রশিক্ষণ। এবং ৭ বছর বয়সে সকলের সামনে শুরু করেন অনুষ্ঠান করা। মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি আন্তর্জাতিক স্তরে পারফর্ম করেন।

ধ্রুপদী সংগীতের সঙ্গে যুক্ত এই মানুষটির পড়াশোনা কতদূর? শিল্পী নেহাতই নিজের একাডেমিক লাইনে কাঁচা নয়। বরং, ইকোনমিক্স অর্থাৎ অর্থনীতিতে তাঁর ব্যাচেলর ডিগ্রি আছে। এমনকি বাবার ইচ্ছেতেই তিনি পড়াশোনার দিকে নজর দিয়েছিলেন।

গ্র্যামি পুরস্কারে ভূষিত জাকির হুসেন। তাঁর কোলাবরেশন অ্যালবামের জন্য এই পুরস্কার পান তিনি। এবং গ্র্যামির মঞ্চে দেখা গিয়েছিল সাদা রঙের পোশাকে। তখনও তাঁকে দেখে বোঝা সম্ভব হয়নি যে, এতটা অসুস্থ তিনি। এছাড়াও পদ্মভূষণ থেকে পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হন।

শিল্পীকে শুধু যে তবলায় বোল তুলতে দেখা গিয়েছিল এমনটা নয়। বরং, তিনি বেশ কিছু ছবিতে মিউজিক কম্পোজার হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর মধ্যে হিট অ্যান্ড ডাস্ট এবং ইন কাস্টডি উল্লেখযোগ্য।

জাকির হুসেন একবার জানিয়েছিলেন, নিজের সোলো পারফর্মের পাশাপাশি তিনি পন্ডিত বিরজু মহারাজের সঙ্গে সঙ্গদ করতেও দারুণ মজা পেতেন। শুধু তাই নয়। বহুবার তাঁদের একসঙ্গে পারফর্ম করতে পর্যন্ত দেখা গিয়েছে।

জাকির হোসেনের সঙ্গে বন্ধুত্ব গাঢ় ছিল পন্ডিত শিবকুমার শর্মার। এমনকি তাঁর মৃত্যুর পর নিজে কাঁধ দিয়েছিলেন কিংবদন্তীর মরদেহকে শ্মশান অবধি পৌঁছে দেওয়ার জন্য। চিতার সামনে দাঁড়িয়ে কাছের বন্ধুকে চলে যেতে দেখেছিলেন তিনি। সেদিন গোটা ভারত সাক্ষী ছিল ধর্মের ঊর্ধ্বে থাকা এক অটুট বন্ধুত্বের।

শিল্পীর বলিপাড়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বেশ দারুন। তাঁকে নানা সময় নানান তারকার সঙ্গে গল্পে ব্যস্ত হতে দেখা যেত। এমনকি, শাবানা আজমি, শশী কাপুরের সঙ্গে মাঝেমধ্যেই আড্ডা জমাতেন তিনি।

যারা জানেন না, বাবা আল্লা রাখা তাঁর জন্মের পর কানে ইসলাম প্রার্থনার জায়গায় বলেছিলেন, রিদম। কারণ, যাকে তিনি পুজো করেন ছেলেকেও সেই বিদ্যাই দিতে চেয়েছিলেন তিনি।