তিনি মহানায়ক! তিনি সকলের উত্তম... আজও তাঁর জায়গা কিংবা স্থান নেওয়ার মতো সাহস কিংবা ক্ষমতা কারওর নেই। অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায় থেকে উত্তম হয়ে ওঠার পথে, এসেছে গিয়েছে অনেককিছুই... আর সেসবের কারণেই আজও তিনি মহানায়ক।
একসময় সত্যজিৎ রায় বলেছিলেন উত্তম হলেন ইন্ডাস্ট্রির একমাত্র স্টার। তখন যে ছবিতেই উত্তম হাত দিতেন সেটাই যেন সুপারহিট। একের পর এক হিট জুটি - উত্তম সুচিত্রা, উত্তম সুপ্রিয়া, কিংবা উত্তম সাবিত্রী..না তো অভিনয়ে খামতি রাখতেন না তো আপোস করতেন চরিত্রের সঙ্গে। সত্যজিৎ এর সঙ্গে কাজ করেছেন দুইবার। কিন্তু... অস্কার বিজয়ী পরিচালককে একবার ফিরিয়েও দিয়েছিলেন তিনি। ভীষণ, সাধারণ এবং ভীষণ নরম সুরে কথা বলতেন উত্তম। সহজে না বলতে জানতেন না।
সত্যজিৎ এর সঙ্গে কাজ করেছেন নায়ক এবং চিড়িয়াখানা ছবিতে। কিন্তু, এর আগেও একবার নাকি উত্তমের কাছে প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়। নায়ক বানানোর অনেক আগেই সত্যজিৎ এর নজরে ছিলেন মহানায়ক। প্রস্তাব দিয়েছিলেন ঘরে বাইরে ছবির জন্যও। রবি ঠাকুরের উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করেই স্ক্রিপ্ট তৈরি করেছিলেন তিনি। উত্তমের জন্য ভেবেছিলেন একটু আলাদা, নেগেটিভ চরিত্র। সন্দীপের ভূমিকায় তাঁকে দেখতে চেয়েছিলেন পরিচালক। কিন্তু...
আরও পড়ুন - উত্তমের বন্ধুত্ব: শেষ সময়েও সুচিত্রার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন মহানায়ক?
উত্তম তখন স্টার। একজন সুপারস্টার, যে নাকি সকলের চোখের নায়ক, ঘুম উড়িয়েছেন বেশিরভাগের... তারপক্ষে সন্দীপ চরিত্রটি করা বোধহয় সম্ভব ছিল না। সবসময় নায়ক হিসেবে পজিটিভ চরিত্রে রেখেছেন নিজেকে সেখানে রাতারাতি নেগেটিভ চরিত্রে...উত্তম নাকি সহমর্মিতার সঙ্গেই ফিরিয়েছিলেন সত্যজিৎকে।
আজ, মহানায়কের জন্মদিন। এতবছর কেটে গেলে কী হবে, তাঁর স্মিত হাসিতে আজও মন হারান বাংলার তরুণীরা। এটুকু বলাই যায়, তিনি যদি ফের ফিরে তাকান, মত কাটিয়ে বেরোনো একেবারেই সম্ভব না।