গতকাল মহানায়কের মৃত্যুদিন উপলক্ষে এমন কিছু ভিডিও উপহার দিলেন অভিনেত্রী ত্বরিতা চট্টোপাধ্যায় যা ভীষণ দামী। ত্বরিতা বর্তমানে তরুণ কুমারের নাতবউ। সৌরভের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর থেকে সে এখন মহানায়কের বাড়ির অবিচ্ছেদ্য অংশ।
Advertisment
অভিনেত্রী নিজের ব্লগ চ্যানেলের মাধ্যমেই নানা সময় নানা কিছু উপহার দেন। তবে, গতকাল অভিনেত্রী ২৪ জুলাই মহানায়কের বাড়িতে ঠিক কী হয় সেটাই দেখালেন। ৪৪ বছর আগে যে মানুষটি চলে গিয়েছিলেন না ফেরার দেশে, আজও যেন বাঙালির তাঁকে নিয়ে আবেগের কমতি নেই। কারণ, তাঁর নামের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে 'মহানায়ক' শব্দটি। ত্বরিতা বলেন...
"প্রতিবছর এই দিন অনেক অনুরাগীরা আসেন মহানায়কের বাড়িতে"। মূলত যে ঘরটা তিনি ঘুরে দেখালেন, সেটি একসময় উত্তম বাবুর অফিস ঘর ছিল। এই ঘরে, চট্টোপাধ্যায় বাড়ির লক্ষীপুজো হয়। যদিও বা মহানায়ককে দেখার সৌভাগ্য সৌরভ-গৌরব কারওর হয়নি। সৌরভ বলেন, "এই ঘরটায় সবকিছু হয়। বাড়ির পুজো থেকে কেউ মারা গেলে তাঁকে এখানেই রাখা হয়। এই বলেই তিনি নির্দেশ করেন, দরজার দিকে। তারপর বলেন, শুনেছি ১৯৮০ সালে এই দরজাটার সামনেই মহানায়ককে শায়িত রাখা হয়েছিল। আমার তো জন্ম হয়নি। আমরা সবটাই শুনেছি। আপনারা যা জানেন, আমি সেটাই জানি।"
এইবলে, পরের দিকে এগোতে থাকেন সৌরভ। যেখানে, অজস্র মহানায়কের ছবি। তাঁর পাশাপাশি ওঁর ব্যবহৃত চেয়ার থেকে আরামকেদারা সব। কালো রঙের একটি চেয়ার দেখিয়ে সৌরভ বললেন, "এটায় উনি বসতেন। এটা উনার অফিস ঘর ছিল। আর এই যে এই আরামকেদারা। আসলে, উনার হাঁটুর একটু সমস্যা ছিল। আসলে, এটা উনার বাবার চেয়ার। শুনেছি, মাঝেমধ্যে এতে বিশ্রাম নিয়েই উপরে উঠতেন তিনি।" তাঁর সঙ্গে ঘরে অজস্র বই।
ঘরের প্রতিটি কোণায় উত্তম বাবুর স্মৃতি। সৌরভ উত্তমকে না দেখলেও তাঁকে আজও সুন্দর দাদু বলেই ডাকেন। ২৪ তারিখের আগের রাতে কী হয়েছিল, তরুণ কুমারের কথা বলতে বলতেই চোখে জল অভিনেতার। বলেন, "২৩ তারিখ যখন অসুস্থ ছিলেন সুন্দর দাদু, আমার দাদু গিয়েছিলেন দেখতে। তাঁর একটা শো ছিল। মহানায়ক তাঁকে বলেছিলেন, বুড়ো কাজটা শেষ করে আয়। কিন্তু তারপর আর ফিরে দাদাকে দেখা হয়নি।"