দিনের পর দিন গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হয়ে যাচ্ছিলেন এক মহিলা। শেষমেশ না থাকতে পেরে, বিষয়টা সোশ্যাল মিডিয়াতেই জানান বরুণ ধাওয়ানকে। নজরে আসতেই তড়িঘড়ি ময়দানে নামেন অভিনেতা। ওই নির্যাতিতা মহিলাকে সাহায্য করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। থানা-পুলিশ করে শেষমেশ উদ্ধার করা হয় মহিলাকে।
ঠিক কী ঘটেছে? গুজরাতের আহমেদাবাদের এক মহিলা বরুণের কাছ থেকে সাহায্য চেয়েছিলেন, তিনি যেন গার্হস্থ্য হিংসা থেকে তাঁকে বাঁচান। দিনের পর দিন তাঁকে খেতে দেওয়া হত না। এমনকী মারধরও করা হত। পরিবারের অন্য সদস্যরা তো বটেই, এমনকী গুজরাট পুলিশও এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি। কারও কাছ থেকে সাহায্য না পেয়ে শেষমেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় বরুণের দ্বারস্থ হন তিনি।
খোঁজ নিয়ে অভিনেতা জানতে পারেন, কেউ ঠাট্টা করে টুইট করেননি, বরং বিষয়টি গম্ভীর। এরপরই আহমেদাবাদের বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। শুধু তাই নয়, সেখানকার পুলিশ বিভাগেরও সঙ্গেও নিজে কথা বলেন। ওই মহিলা আদতে বরুণ ধাওয়ানের এক অনুরাগী। সেই প্রেক্ষিতেই প্রিয় অভিনেতার কাছ থেকে সাহায্য চেয়েছিলেন। হাজারও ব্যস্ততার মাঝেও মুখ ফিরিয়ে নেননি বরুণ। বরং, আহমেদাবাদ পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে নিজে কথা বলে সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনেন।
<আরও পড়ুন: ‘বর বকবে তো’! হিন্দি গানে নাচ করে ট্রোলড রূপঙ্করের স্ত্রী চৈতালি>
৫-১০ জন অনুরাগীদের মাধ্যমেই গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হওয়া ওই মহিলার ঘটনা যে সত্যি, তা জানতে পারেন বরুণ। এমনকী এক সাংবাদিকও অভিনেতাকে নিশ্চিত করেন যে, সত্যিই তিনি চরম বিপদের মধ্যে রয়েছেন। যদিও সংবাদমাধ্যমেরা কাছে ওই নির্যাতিতা মহিলার ব্যক্তিগত পরিচয় গোপন রেখেছেন তিনি, কারণ তাঁকে যাতে অযথা কেউ আর বিব্রত না করেন, সেই জন্য। আপাতত ওই মহিলার সমস্যা সমাধান হয়েছে।
সম্প্রতি 'যুগ যুগ জিও'র প্রচারে এসে প্রকাশ্যেই আহমেদাবাদ পুলিশ ও আইপিএস অজয় চৌধুরিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বরুণ ধাওয়ান। যে সিনেমা রিলিজ করছে ২৪ জুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন