অবশেষে লড়াইয়ের অবসান ! প্রয়াত তরুণ মজুমদার। রবিবার সকাল থেকেই শারীরিক অবস্থার চূড়ান্ত অবনতি ঘটে পরিচালকের। ১৪ জুন থেকে ভর্তি ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে। পরিচালকের মৃত্যুর খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটে যান অরূপ বিশ্বাস। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে কথাও বলেন মন্ত্রী।
Advertisment
রবিবার তরুণ মজুমজারের শারীরিক পরিস্থিতির চূড়ান্ত অবনতি হওয়ায় ভেন্টিলেশনে রাখা হয় তাঁকে। তাঁর চিকিৎসার জন্য গঠন করা হয়েছিল মেডিক্যাল বোর্ডও। তবে শেষরক্ষা হল না। সোমবার সকাল ১১টা ১৭ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পরিচালক দেহদানের পরিকল্পনা করেছিলেন। সব ঠিক থাকলে এসএসকেএম হাসপাতালের অ্যানাটমি বিভাগেই দেহদান করা হবে। দেহর সঙ্গে সঙ্গে কর্নিয়া দানের সিদ্ধান্তও জানিয়েছেন পরিবারের সকলে।
তবে পরিবারের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আড়ম্বরহীনভাবেই শেষকৃত্য করা হবে। কোনও বড় ধরণের শোকযাত্রার আয়োজন হবে না। অরূপ বিশ্বাস জানালেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তরুণবাবুর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেই শেষকৃত্যের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানানো হবে। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য হবে না। তরুণবাবু চেয়েছিলেন আড়ম্বরহীনভাবে শেষযাত্রা হোক। ওঁর ইচ্ছে অনুযায়ীই সেটা হবে। মরদেহ বাড়ি যাওয়ার পর ফের এসএসকেএমে নিয়ে আসা হবে দেহদানের জন্য।"
সাংসদ ইন্দ্রনীল সেন জানান, এ যেন এক অধ্যায়ের অবসান হল। শোকপ্রকাশ করেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে আয়োজন করা হবে না কোনও বড় শোকযাত্রার।