আপনার কী কখনও পদবী বিভ্রাট হয়েছে? মানে নিজের নামের সঙ্গে কোন পদবী ব্যবহার করবেন সেই নিয়ে গুলিয়ে যাচ্ছে না তো? এবার কিন্তু এই সমস্যায় পড়েছেন অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায় ( Vikram Chatterjee ) এবং মধুমিতা সরকার ( Madhumita Sarcar )। তারা নিজেদের পদবী নিয়েই বেজায় ফেঁসেছেন। কী ভাবছেন বাস্তবে? একেবারেই না! নতুন সিনেমা 'কুলের আচার' নিয়েই যত গন্ডগোল!
ইনস্টাগ্রামে পোস্ট শেয়ার করেই বিক্রম এবং মধুমিতা জানিয়েছেন নিজেদের নতুন ছবি কুলের আচার প্রসঙ্গে। এক্কেবারে হাত জোড় করেই, বিক্রম শুরু করেন - 'নমস্কার! আমি প্রীতম সেন! ও সরি সরি, প্রীতম রায় - কী মুশকিলেই না পড়েছেন তিনি। হকচকিয়ে বলেন, কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছে, সেন নাকি রায়! এই সিজনের সবথেকে কুল গল্প নিয়ে খুব শিগগিরই আসবে কুলের আচার। ঠিক তেমনই পিছিয়ে নেই মধুমিতা নিজেও। তার বক্তব্য, একটু মিষ্টি একটু টক আর একটু ঝাল মাখানো গল্প নিয়েই কুলের আচার। তবে তিনি মিসেস সেন নাকি মিসেস রায় এই নিয়েও বেশ দোলাচলে - তার পরিবারের গল্প শুনতে হলে কুলের আচার আপনার জন্য পারফেক্ট!
বিক্রম এবং মধুমিতার সঙ্গেই বড়পর্দায় ফিরছেন ইন্দ্রানী হালদার, সঙ্গে থাকছেন সুজন মুখোপাধ্যায়। ঠিক কেমন হতে চলেছে এই ছবির প্রেক্ষাপট। সংক্ষেপে যতদূর জানা যাচ্ছে, একজন মেয়ের বিয়ের পরের পদবী নিয়েই গল্পের বাগডোর। যে পদবীর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে একজন মানুষের পরিচয়, বাবা মায়ের ভালবাসা এবং চেনা পৃথিবীর গন্ধ সেইখানে হঠাৎ করেই বিবাহ পরবর্তী সময়ে কেন সেটিকে বদলে ফেলতে হবে? ছেলেদের ক্ষেত্রে কেনই বা এই নিয়ম শিরোধার্য নয়? অনেকেই এমন আছেন যারা বিয়ের পরে দুটো পদবীই ব্যবহার করেন, তাহলে কারা আসলেই ঠিক? আর কারা ভুল? সমাজের এই চিরাচরিত রীতি নিয়েই গল্প বলবে কুলের আচার।
তাহলে এমন সেনসিটিভ একটি টপিকের প্রসঙ্গে এমন নাম কেন? পরিচালকের বক্তব্য, কুলের আচার টক ঝাল মিষ্টি দিয়ে তৈরি, আর আমাদের পারস্পরিক সম্পর্কগুলোর মধ্যেও সব ধরনের স্বাদের আঁচ পাওয়া যাবেই! সেই কারণেই এই নাম গল্পের প্রেক্ষাপট এবং প্রসঙ্গের সঙ্গে দারুণ ভাবে সম্পর্কিত। গল্প লিখেছেন এবং পরিচালনায় সুদীপ দাস। এসভিএফ এর প্রযোজনায় খুব শিগগিরিই বড়পর্দায় অলস দুপুরে সঙ্গী হবে কুলের আচার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন