এদিকে একদল বলছে বাংলা ছবি পাশে দাঁড়ানোর কথা, অন্যদিকে যখন আসন্ন একটি বাংলা ছবির রিলিজ, তখন তার পোস্টার দেয়াল থেকে ছিড়ে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কি কারণে? এর আড়ালে কি কোন অভিসন্ধি রয়েছে? নাকি রয়েছে কোন বিরাট কারণ?
এই সপ্তাহে বেশ কয়েকটি বাংলা ছবি রিলিজ করেছে। আবার ৩১ তারিখ ও রয়েছে অনেকগুলি বাংলা ছবির রিলিজ। যার মধ্যে বিক্রম এবং সোহিনী অভিনীত অমর সঙ্গী রয়েছে। অমর সঙ্গী এই নামটির সাথে, বাঙালির এক বিশাল যোগ রয়েছে। কারণ অমর সঙ্গী নামক ছবি দিয়েই, বাংলার ইন্ডাস্ট্রি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় নিজের নাম পরিচিতি পান। বিক্রম এবং সোহিনীর এই গল্প যে রোমান্টিক কিছু হতে চলেছে, একথা আন্দাজ করে নিয়েছেন ভক্তরা।
কিন্তু ছবির প্রমোশনের ক্ষেত্রে, কলকাতায় দেওয়াল লিখন কিংবা পোস্টার এক গুরুত্বপূর্ণ অর্থ রাখে। এখানে একজন তারকা যখন দেখেন তার নিজের ছবির পোস্টার, ছেঁড়াফাটা অবস্থায় রাস্তায় গড়াগড়ি খাচ্ছে, তখন ঠিক তার মনের অবস্থা কেমন হয়? বিক্রম সেইসব ছবি শেয়ার করি সমাজ মাধ্যমে একটি বিরাট বার্তা দিয়েছেন। প্রমোশনের পেছনে অর্থ নির্ধারিত থাকে প্রোডাকশনের। সেখানে একবার যদি এই কাণ্ড হয়, নতুন করে যে আবার পোস্টার লাগানো সম্ভব নয় বিক্রম সেই কথাই জানিয়ে দিলেন।
তিনি লিখছেন, “আগামী ৩১শে জানুয়ারী সিনেমাহলে মুক্তি পাচ্ছে “অমরসঙ্গী”।আমাদের অনেকটা রক্ত,ঘাম মিশে আছে এই সিনেমার নির্মানের সঙ্গে,হয়তো বেশ কিছুটা স্বপ্নও। সিনেমার প্রচারের জন্য কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে সিনেমার প্রযোজক কয়েক হাজার পোস্টার ছাপিয়েছেন, কলকাতা শহরের নানান জায়গায়র অংশে সেগুলাও লাগানোও হয়েছে। অথচ তার বেশ কিছু জায়গায় এই দৃশ্য। অদ্ভুত ভাবে শুধু আমাদেরই পোস্টার গুলো নির্মম ভাবে ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলা হয়েছে, পোস্টার ফেলার ১ দিন এর মধ্যে। আমাদের প্রযোজকের পক্ষে সম্ভব না আবার নতুন করে পোস্টার ছাপিয়ে গোটা শহর জুড়ে লাগানো।তাই আপনারা রাস্তায় সিনেমার পোস্টার দেখতে পাবেন কিনা জানিনা, কিন্তু #অমরসঙ্গী দেখতে পাবেন সিনেমা হল এ ৩১ এ জানুয়ারি থেকে। দেখা হচ্ছে।”
এদিকে বিক্রমের পোস্ট দেখে গায়ক শিলাজিৎ, ঠিক এরকমই বললেন, Correct আছে!! ছিঁড়বে!! এ ছাড়া আর কি করবে! আরও বেশি মানুষ জানবে..all the besto!! পাবেই কেষ্ট!! এবং অনেক মানুষরাই বিক্রমকে সঙ্গ দিয়েছেন। তাদের কথায় যারা এই কাজ করেছেন তারা মানুষ নয়। কিন্তু এসব ভাবে যে সাফল্য কেড়ে নেওয়া যায় না সে কথা অস্বীকার করা যাবে না। আবার কেউ বললেন, এই পশ্চিমবঙ্গে সবকিছুই সম্ভব, আর যাই হোক ভালো ছবি হলে দর্শককে আটকানো সম্ভব নয়।