ভোটের দিন 'বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে'! 'নির্বাচনী বিধিভঙ্গে'র অভিযোগ পায়েলের বিরুদ্ধে

শনিবার ভোরবেলা বেহালা পূর্ব বিধানসভার রামজীবনপুরে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

শনিবার ভোরবেলা বেহালা পূর্ব বিধানসভার রামজীবনপুরে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
paayel1

বেহালা (Behala) পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন পায়েল সরকার (Paayel Sarkar)। সক্রিয় রাজনীতির ময়দানে পা রেখেই নির্বাচনে লড়ার টিকিট পেয়েছেন। প্রতিপক্ষ তৃণমূলপ্রার্থীও হেভিওয়েট। শোভনপত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়। আজ রাজ্যের চতুর্থ দফা নির্বাচনে ভোটবাক্সে ভাগ্যগণনার অগ্নিপরীক্ষা পদ্ম শিবিরের তারকা প্রার্থী পায়েল সরকারের। অতঃপর সকাল থেকেই একটা চাপা উত্তেজনা কাজ করছে প্রার্থীর মধ্যে। তবে এত ব্যস্ততার মাঝেও যোগ্য নেত্রীর মতো দলের আক্রান্ত কর্মীদের খবর নিতে ভোলেননি তিনি। শনিবার সকালবেলাই নিজস্ব কেন্দ্রের আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের বাড়ি গিয়েছিলেন খোঁজ নিতে। তার জেরেই নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠল পায়েল সরকারের বিরুদ্ধে।

Advertisment

ভোটের দিন প্রার্থীর দলীয় কর্মীদের বাড়িতে যাওয়া ভোট বিধি-বহির্ভূত বলেই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের দাবি, "নির্বাচনের দিন ভোটারদের বাড়ি যেতে পারেন না প্রার্থী খোদ।"

প্রসঙ্গত, শনিবার ভোটের (West Bengal Assembly Election 2021) দিন ভোরবেলা বেহালা পূর্ব বিধানসভার রামজীবনপুরে ১৪২ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। আক্রান্তদের অভিযোগ, "রাত নেই দিন হয় আমাদের উপর হামলা করছে তৃণমূল। বলছে খেলা হবে, খেলা হবে। ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এসে হুমকি দিচ্ছে। গালিগালাজ করছে। ইট ছুঁড়ছে, বড় বড় ছুরি দিয়ে ভয় দেখিয়ে ভোট দিতে না যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।" আক্রান্ত সেই কর্মীর পরিবার যেন সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারেন, সেই জন্যই ভোটের দিন সকালে বাড়ি পাহাড়া দিতে পৌঁছেছিলেন বিজেপি প্রার্থী পায়েল খোদ। এতেই তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ ওঠে বলে খবর। রাজ্যের শাসকদলকে পাল্টা নিশানা করে পায়েলের মন্তব্য, "এটাই কি তৃণমূলের খেলা?"

অন্যদিকে, বিজেপি (BJP) কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে হামলার অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূলের (TMC) নেতা রঘুনাথ পাত্র অস্বীকার করলেও ঘটনায় এখনও অবধি ৩জন ঘাসফুল শিবির কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।