দ্যা কাশ্মীর ফাইলসের পর, এবার আবারও এক নতুন ফাইল নিয়ে আসছেন বিবেক অগ্নিহোত্রী। এবার বাংলার এক অধ্যায়ের ফাইলস নিয়ে আসছেন তিনি। যেকারণে শাসকদলের তরফে তাঁর বিরুদ্ধে নানা এফআইআর করা হয়েছে। কিন্তু, পরিচালক তাঁর সিদ্ধান্তে অনড়। এবং, তিনি চ্যালেঞ্জ নিয়ে ফেলেছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এই ছবিও মানুষ দেখবেন এবং বিচার করবেন।
একাধিক পুলিশি অভিযোগের পরেও পরিচালক নিজেই নিজের দাবি জানিয়েছেন। এই ছবির ট্রেলার মুক্তি পাবে বাংলার বুকেই। বর্তমানে তিনি তাঁর এই ছবির প্রোমোশনেই আমেরিকাতে রয়েছেন। তিনি সাফ জানিয়েছেন, এই ছবির মাধ্যমে লুকিয়ে থাকা এবং হারিয়ে যাওয়া অনেক সত্যের উন্মোচন হবে, যা আজও মানুষ জানেন না। এক ভিডিওবার্তায় তিনি কলকাতা হাইকোর্টের ওপর আস্থা রেখেই বার্তা দিয়েছেন।
তিনি বললেন, "পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল এবং তাদের সদস্যরা আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শহরে, ভিন্ন ভিন্ন থানায়, একের পর এক এফআইআর দায়ের করে চলেছেন। এটি তাদের একটি কৌশল। আমি এতদিন চুপ ছিলাম এবং এই তথ্য কারও সঙ্গে ভাগ করিনি, কারণ আমরা আইনি পথ অনুসরণ করছিলাম। আমার ভারতের বিচার ব্যবস্থার উপর, বিশেষ করে কলকাতা হাই কোর্টের উপর গভীর আস্থা রাখি।"
সঙ্গে সঙ্গেই একটি সুখবর দিলেন তিনি। এত এফআইআর এর মধ্যেও যে কোর্টের তরফে তাঁরা আশার আলো দেখেছেন এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, "কলকাতা হাই কোর্ট আমাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব এফআইআরের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে। কিন্তু হাই কোর্টে মামলাটির শুনানি চলার সময়ই তারা আরও নতুন এফআইআর দায়ের করেছে। শাসকদলের উদ্দেশ্য হল আমাদের এতসব আইনি জটিলতায় জড়িয়ে দেওয়া, যাতে আমরা ছবির প্রচারের উপর মনোনিবেশ করতে না পারি। এটাই তাদের দীর্ঘদিনের কৌশল।"
এর আগেও দ্যা কাশ্মীর ফাইলস নিয়ে তাঁকে নানা সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়। একে, প্রোপ্যাগান্ডা ছবি হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। আর এবারও যে ছবি তিনি বানিয়েছেন তাতে অনেক পরিশ্রম করেছেন বলেই জানিয়েছেন। এবং, তিনি সোজাসুজি বললেন, "আমি ছবিটির কাজ শেষ করেছি। অত্যন্ত কঠিন ছবিটি। বানাতে আমরা যা কিছু ছিল, সবটুকু দিয়েছি। বাংলায় শুটিং করতে দেওয়া হয়নি, তাই পুরো ছবিটা মুম্বইয়ে শুট করতে হয়েছে। এখন, আমাদের সীমিত সম্পদের মধ্যে থেকেও চাইছি যেন এই ছবি ভারতের প্রতিটি নাগরিকের কাছে পৌঁছে যায়।"
ভিডিওর শেষে তিনি বলেন, "এই ছবি জনগণের, আপনাদের ছবি। আমি চাই আপনারা আমাদের পাশে থাকুন। আমি চাই আপনারা সামনে আনুন সেই সব শক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে, যারা চায় না এই ছবি মুক্তি পাক। তারা আমাদের সাহসকে চ্যালেঞ্জ করছে। তারা দেখতে চায় আমরা কীভাবে লড়াই করি। আমরা একা, আর তাদের সঙ্গে রাজ্যের ক্ষমতা আছে। কিন্তু আমি এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি এবং এই ছবির ট্রেলার আমি পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি দেবই। আমাকে কেউ থামাতে পারবে না, কারণ সত্যকে কেউ চিরকাল চাপা দিতে পারে না।"