/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/29/salman-2025-09-29-17-24-20.jpg)
যা বললেন বিবেক...
২০০৩ সালে, বলিউডে বড়সড় বিতর্কের জন্ম দেন বিবেক ওবেরয়। এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন যে সুপারস্টার সলমন খান তাকে হুমকি দিয়েছিলেন। শোনা যায়, ঐশ্বর্যর রাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হওয়ার পর থেকেই এই ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল। এর পর থেকে বিবেকের কেরিয়ারে নানা বাধা ও সংগ্রামের সূচনা হয়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি সেই সময়কার অভিজ্ঞতা, মানসিক লড়াই এবং হৃদয়ভঙ্গ সামলানোর গল্প খোলাখুলি শেয়ার করেছেন।
প্রখর গুপ্তের সঙ্গে আলাপচারিতায় বিবেক জানান, তিনি সবসময়ই সংবেদনশীল মানুষ। তাঁর কথায়, "হৃদয়ভঙ্গের ভয় নিয়ে বাঁচতে চাই না, কারণ আমি ইতিমধ্যেই সেটি পেরিয়েছি। এটা এক ভয়ঙ্কর, একাকীত্বে ভরা এবং কঠিন অভিজ্ঞতা ছিল।"
তিনি আরও বলেন, "ব্যথা এড়াতে নিজেকে অনেকটা গুটিয়ে নিয়েছিলাম। কিন্তু, সেটা আমার স্বভাব নয়। আমরা মানুষ, তাই আবারও ভালোবাসতে হয়, আবারও অনুভব করতে হয়। নিজেকে খুলে দেওয়াই জীবনের আসল পথ।"
সলমন খানের সঙ্গে দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "যখন মাথার উপর সমস্যা আসে, তখন তা পাহাড়সম মনে হয়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বুঝেছি, আসলে সেগুলো আমাদের শক্তিশালী করতেই আসে। তখন যা ভয়ঙ্কর লাগত, এখন মনে হয় অনেক অপরিপক্ব প্রতিক্রিয়া ছিল।"
তবে তাঁর কাছে সবচেয়ে কষ্টকর ছিল বাবা-মায়ের দুঃখ দেখা। "মায়ের চোখের জল আর বাবার মুখের চিন্তা আমাকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিয়েছে। সেখান থেকে বেরোনো কঠিন ছিল"...এমনটাই স্বীকার করেন বিবেক। সেই সময় ভয়ঙ্কর বয়কটের শিকার হয়েছিলেন তিনি। প্রায় সব প্রোজেক্ট থেকে বাদ পড়েছিলেন, এমনকি হুমকি ফোনও আসত। হতাশায় ডুবে গিয়ে তিনি প্রায়ই মায়ের কোলেই ভেঙে পড়তেন। তখনই মা তাঁকে জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দেন।
বিবেক বলেন, "আমি বারবার ভাবতাম, কেন আমার সঙ্গেই এমন হচ্ছে? তখন মা আমাকে মনে করিয়ে দিলেন- যখন পুরস্কার জিতেছিলাম বা ভক্তরা নাম ধরে চিৎকার করেছিল, তখন তো এই প্রশ্ন করিনি! তিনি আমাকে একদিন শিশু ক্যানসার ওয়ার্ডে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে ছোট ছোট বাচ্চারা ব্যথার মধ্যেও হাসছিল। সেদিন বুঝলাম আমার সমস্যাগুলো কিছুই নয়।"
বর্তমানে বিবেক ওবেরয়কে সর্বশেষ দেখা গিয়েছে ‘কেশরী বীর’ সিনেমায় সুনীল শেঠি ও সুরজ পাঞ্চোলির সঙ্গে। এখন তিনি নীতেশ তিওয়ারির ‘রামায়ণ’ ছবির শুটিং করছেন, যা ২০২৬ সালে মুক্তি পাওয়ার কথা।