সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে দেশের বিনোদন ইন্ডাস্ট্রির মাদক কারবারীরা নজরে রয়েছেন। এযাবৎকাল বলিউডের একাধিক তারকাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। আঁচ পড়েছে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতেও। একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীদের আটক করেছে পুলিশ। অনেকেই আবার পুলিশি নজরে আসার পর থেকে পলাতক। এবার 'স্যান্ডেলউড মাদক কাণ্ড'-এ গ্রেফতার করা হল বিবেক ওবেরয়ের (Vivek Oberoi) শ্যালক আদিত্য আলভাকে (Aditya Alva)।
চেন্নাই থেকে আদিত্যকে গ্রেফতার করে বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। সূত্রের খবর, সোমবার রাতেই এই ঘটনা ঘটে। 'স্যান্ডেলউড মাদক কাণ্ড' (Sandalwood drug case)-এ তাঁর নাম জড়ানোর পর থেকেই পলাতক ছিলেন আদিত্য। গোপন সূত্রে খবর পেয়েই সোমবার রাতে চেন্নাই থেকে উদ্ধার করা হয় পলাতক আদিত্যকে।
গতবছর সেপ্টেম্বর মাসের ৪ তারিখ স্যান্ডেলউড মাদককাণ্ডের জন্য কটনপেট পুলিশ স্টেশনে এফআইআর দায়ের করা হয় আদিত্যর বিরুদ্ধে। যিনি কিনা প্রাক্তন মন্ত্রী জীভরাজ আলভার ছেলে এবং অন্যদিকে বলিউড অভিনেতা বিবেক ওবেরয়ের শ্যালক। 'স্যান্ডেলউড মাদক কাণ্ড'-এ কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির যেসব তারকারা জড়িত, তাঁদের মধ্যে আদিত্য আলভা অন্যতম।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আদিত্যর বেঙ্গালুরুর বাড়িতে হানা দিয়েছিল পুলিশ। নোটিশ যদিও আগেই পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। এরপরই গতবছর অক্টোবর মাসে তাঁর মুম্বইয়ের বাড়িতেও পুলিশ অভিযান চালায়। আর তারপরই এই মাদক মামলার তদন্তে সাহায্যের জন্য আদিত্যর দিদি তথা বিবেকে ওবেরয়ের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা আলভা এবং তাঁদের আরেক বোনকে ডেকে পাঠানো হয় পুলিশের তরফে। পুলিশি সূত্রে খবর, আদিত্য আলভা স্যান্ডেলউড মাদককাণ্ডের ৬ নম্বর অভিযুক্ত। গ্রেফতার করার পর তাঁকে বেঙ্গালুরুতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এপ্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার সন্দীপ পাটিলের মন্তব্য, "কটনপেটের স্যান্ডেলউড মাদক মামলায় পলাতক অভিযুক্ত আদিত্য আলভাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খোঁজ চলছিলই। গোপন সূত্রে খবর পেয়েই সোমবার রাতে চেন্নাইতে হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয় আদিত্যকে। তদন্ত এখনও চলছে।"