Waheeda Rehman On Name Change: পাঁচ দশকের বেশি সময় ইন্ডাস্ট্রিতে একচেটিয়া রাজত্ব করেছেন। তিনি কিংবদন্তী অভিনেত্রী ওয়াহিদা রহমান। চলচ্চিত্র জগতে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা অনস্বীকার্য। নীল কমল, বিশ সাল বাদ, খামোশি, পয়সা, সাহেব বিবি অউর গোলাম, সিআইডি-র মতো কালজয়ী ছবি রয়েছে তাঁর ফিল্মি কেরিয়ারে। ওয়াহিদা রহমান বরাবরই স্পষ্টবক্তা।
ইন্ডাস্ট্রির সব নিয়মও মুখ বুঝে সহ্য করেননি। সম্প্রতি জয়পুর লিটেরেচর ফেস্টিভ্যাল-এ এসেছিলেন বলিউডের এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। সেখানে এসেই তিনি বলিউডে কেরিয়ার শুরুর গোড়ার দিকের স্মৃতিচারণা করেন। কী কারণে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেই নাম পরিবর্তন করতে বলা হয়েছিল । অকপটে বলেন, গুরু দত্তের সঙ্গে ছবিতে কাজ করার সময় পরিচালক বলেছিলেন ওয়াহিদা রহমান নামটা কাউকে আকর্ষণ করে না। কোনও গ্ল্যামার নেই।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে CID ছবি দিয়ে অভিনয়ে হাতেখড়ি। কিংবদন্তী অভিনেত্রী বলেন, 'যখন আমি চেন্নাই থেকে মুম্বি এসেছিলাম তখন গুরু দত্তজি আমাকে একটি সিনেমার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে বলেন। আমার মা-ও সঙ্গে ছিলেন। তখন উনি বলেছিলেন আমার নামটা অনেক বড়, ভাল নয়। আমার খুব খারাপ লেগেছিল। আমার মা-বাবা নাম রেখেছেন। উনি বলার কে? আমি রাজি হইনি। বলেছিলাম প্রয়োজন হলে আপনি আমাকে ওয়াহিদা বলে ডাকবেন। কিন্তু, স্ক্রিনে আমার নাম ওয়াহিদা রহমানই থাকবে। নাম বড় হলে কোনও ক্ষতি নেই।' তাঁকে রাজি করানোর অনেক চেষ্টা করেছিলেন গুরু দত্ত। কিন্তু, তাতে কোনও লাভ হয়নি।
সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর সংযোজন, 'উনি আমাকে দিলীপ কুমার, মধুবালা, মীনা কুমারীর ও অন্যদের উদাহরণ দেন। আমি কোনওভাবেই ওঁর সঙ্গে সহমত হতে পারিনি। নিজের নাম নিয়ে আমার গর্ব ছিল। আমার মা-বাবা যে নামটা দিয়েছেন সেটা আমি কিছুতেই পরিবর্তন করব না। আমাকে বলা হয়েছিল আমার নামের মধ্যে সেক্স অ্যাপিল নেই। নেই কোনও গ্ল্যামার। আমি একটাই কথা বলেছিলাম, যাই হয়ে যাক নাম বদলাব না।'
CID-এর পরিচালক রাজ খোসলা গুরু দত্তের কাছের বন্ধু। তিনি বলেছিলেন, 'যখন নতুন কেউ আমাদের সঙ্গে কাজ করতে আসে তখন আমাদের নিয়ম মানতে হয়। তুমিও নবাগতা। তুমি কেন এত শর্ত দিচ্ছ?' প্রত্যুত্তরে ওয়াহিদা বলেছিলেন, এটা তো give and take। আমার বয়স ১৬ বলে মা ছবিতে সই করেছেন।' মাত্র ১৬ বছর মেয়ের এই যুক্তিতে তাজ্জব বনে বনে গিয়েছিল সকলে। এরপর আর কেউ কখনও তাঁকে নাম পরিবর্তন করতে বলেননি।