মুখ্যমন্ত্রীর খাসতালুকে 'বিজেপির বাজি' তিনি। ভবানীপুর (Bhawanipur) কেন্দ্রে ভোট যতই এগিয়ে আসছে চাপও বাড়ছে প্রচুর। উপরন্তু তৃণমূল ছেড়ে বিধানসভা ভোটের (West Bengal Assembly Election 2021) আগে গেরুয়া মন্ত্রে দীক্ষিত হয়েছেন। ঘাসফুলের (TMC) শক্তঘাঁটি ভবানীপুরে পদ্ম ফোটনোর দায়ভারও এখন রুদ্রনীল ঘোষের কাঁধেই। মমতার পিচে লড়াই সহজ নয়! তাই চাপও প্রচুর। উপরন্তু ঘন ঘন তৃণমূল-বিজেপির খণ্ডযুদ্ধ সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে। তাই কি তালগোল পাকিয়ে ফেললেন পদ্ম শিবিরের তারকা প্রার্থী রুদ্রনীল খোদ! বিজেপি (BJP)- 'ভারতীয় জনতা পার্টি'র পরিবর্তে 'জনতীয় ভারতা পার্টি' বলে ফেললেন।
এমন কাণ্ড করে নিজেও হেসে খুন ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী। তা প্রচারে গিয়ে এমনভাবে ছড়িয়ে ফেললেন কী করে? কারণ ব্যক্ত করেছেন আবার নিজেই। বলছেন, যাঁর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এমন উচ্চারণ বিভ্রাট, তিনি আসলে অবাঙালি ভদ্রলোক। প্রথমটায় রুদ্রনীল (Rudranil Ghosh) বুঝেই উঠতে পারছিলেন না কোন ভাষায় কথা বলবেন। অপরদিকের ব্যক্তি যেহেতু দক্ষিণ ভারতীয় উপরন্তু ভবানীপুর কেন্দ্রেও ভিন্ন ভাষার মানুষের বসবাস। 'বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান' বার্তা তিনি ভোটপ্রচারের ময়দানে গিয়ে আগেভাগেই দিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু কখনও-সখনও এমন ছড়িয়ে ফেলা বেজায় অপরাধ নয়! আর মানুষ মাত্রেই ভুল। অতঃপর ওই অবাঙালি ব্যক্তির সঙ্গে কথোপকথনেই তালগোল পাকিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, ভোটের বাজারে বক্তৃতা দিতে গিয়ে রাজনৈতিক রং-দল নির্বিশেষে অনেকেই এমন ছড়িয়ে ফেলেছেন। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) ফুটবল দিয়ে 'বিজেপিকে বোল্ড আউট' করতে চেয়েছিলেন। ভোটপ্রচারের প্রথম দিকে শুভেন্দু অধিকারীও পুরনো অভ্যেসের জেরে গেরুয়া মঞ্চে দাঁড়িয়েই তৃণমূলের পরিবর্তে বিজেপিকে তুলোধোনা করে ফেলেছিলেন। উদাহরণ আরও ঢের রয়েছে। উপরন্তু সেই তালিকায় আবার যোগ হয়েছে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) 'রগড়ে দেব' মন্তব্য। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমের অন্ত নেই। মিম স্রষ্টাকারীরাও একেবারে রাজনৈতিক হাওয়ায় গা ভাসিয়ে একের পর এক তাজা কন্টেন্ট পাচ্ছেন। বঙ্গভোটের রঙ্গমঞ্চে শব্দ আর উচ্চারণের কারিকুরিতে তাই মার্কেটও মন্দ নয়!