"ফ্লপ হওয়ার ভয় পাই না, ব্যর্থ হলে যেখান থেকে এসেছিলাম, সেখানে চলে যাব..", এ যেন এক 'ইস্পাত-কঠিন' আত্মবিশ্বাস শাহরুখ খানের। গত ত্রিশ বছরের কেরিয়ার তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন। মুম্বইয়ে যে বাড়ির সামনে একদা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতেন, আজ তিনি সেখানেই ভালবাসার প্রাসাদ গড়েছেন- 'মন্নত ল্যান্ডস এন্ড'। পকেটে যৎসামান্য টাকা আর একবুক স্বপ্ন নিয়ে মুম্বইয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন। বিফলে যায়নি পরিশ্রম। আজ তিনি বলিউডের বাদশা।
যা বিটাউনের অন্য খান-কাপুররা করে দেখাতে পারেননি, এই ৫৭ বছর বয়সে সেটাই করে দেখিয়েছেন শাহরুখ। বছর চারেক বাদে প্রত্যাবর্তন করেও অতিমারী উত্তর পর্বে বলিউডের ব্যবসার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন। আর কিং খানের এমন সাফল্যে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন গত কয়েক বছরে ফ্লপের মুখ দেখা অন্যান্য অভিনেতারা। জীবনে এতটাই তৃণমূল স্তর দেখে এসেছেন যে, ব্যর্থতার ভয়ে কাঁপুনি ধরে না তাঁর! আর সেকথাই একবার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন শাহরুখ খান।
<আরও পড়ুন: সিদ্ধার্থ-কিয়ারার বিয়ের পোশাক-কার্ডে ‘রোমান’ স্পর্শ, আজই গৃহপ্রবেশ, মুম্বইতে রিসেপশন কবে?>
বছর চারেক আগে 'ব্যাক টু ব্যাক' ফ্লপের পর সাময়িক বিরতি নিয়েছিলেন বলিউড সুপারস্টার। 'জব হ্যারি মেট সেজল' ও 'জিরো' সিনেমা বক্সঅফিসে মুখ থুবড়ে পড়ার পর কম সমালোচনা হয়নি ৫৭ বছরের এই 'চিরতরুণ' অভিনেতাকে নিয়ে। 'কেরিয়ার খতম নাকি?' এমন প্রশ্নের সম্মুখীনও হতে হয়েছিল তাঁকে। তবে চোয়াল শক্ত করে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছিলেন কিং খান। আর তাতেই কেল্লাফতেহ! হিন্দি সিনেমার ইতিহাসে একাধিক রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে দিলেন 'পাঠান' শাহরুখ।
চড়াই-উতরাই তো বহু তারকার জীবনেরই সঙ্গী, শাহরুখও সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নন। আগেও একবার নিরাশ হন শাহরুখ। ২০১২ সাল। যখন তাঁর ঘরের প্রযোজনা সংস্থার সিনেমা 'রা ওয়ান' চলল না। তবে ব্যর্থতার ভয়ে ভেঙে পড়েননি কিং খান। সেই প্রসঙ্গেই শাহরুখ বলেছিলেন, "আসলে বিষয়টা হচ্ছে আমাকে সবাই বলিউডের বাদশা বলেন। তবে বাদশা যাঁরা হন, তাঁরা অনেক ধনী। আমি তো ফকির! আমি কোনওদিনই এসব চাইনি। দরকারও ছিল না। পকেটে ১৫০০ টাকা নিয়ে এসেছিলাম, সেই টাকা নিয়ে চলেও যাব। তবে এত ভালবাসা অর্জন করেছি যে, সেই ভালবাসার রাজত্ব কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। তাই আমি ভয় পাই না। একটা চলবে না তো আরেকটা বানিয়ে নেব। ৭০টা সিনেমার থেকে কিছু তো চলেছে। তো বাকি ছবিগুলোও কোথাও না কোথাও চলবে।"