শুক্রবার অর্থাৎ ১৫ ফেব্রুয়ারী মুক্তি পেয়েছিল পরিচালক অনীক দত্তের ছবি 'ভবিষ্যতের ভূত'। কিন্তু ছবি মুক্তির একদিনের মধ্যেই রাজ্যের প্রায় সমস্ত সিনেমা হল থেকে তুলে নেওয়া হল ছবিটি। কারণটা এখনও স্পষ্ট নয়। ফলত ছবিটা কেন দেখানো হচ্ছে না কারণ জানতে চেয়ে বিক্ষোভ জেগেছে নানা মহলে। পরে তা অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসের সামনে জমায়েত পর্যন্ত গড়ায়। সমগ্র শিল্পীমহল এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছেন। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কার্যত এড়িয়ে যান। তবে কলকাতার বাইরে কিছু জায়গায় এখনও মিলছে 'ভূতেদের' দেখা। তালিকাটা খুব একটা দীর্ঘ নয় যদিও।
আরও পড়ুন, ভবিষ্যত অনিশ্চিত, ‘ভূতের’ হানার মুখে অনীক দত্তের সিনেমা
রথীন্দ্র সিনেমা হল, সোদপুর (দুপুর ১.৪৫)
জয়ন্তী সিনেমা, ব্যারাকপুর (দুপুর ২.০০ এবং সন্ধে ৭:১৫)
লালি সিনেমা, বারাসাত (বিকেল ৪.৪৫)
কাইরি টকিজ, চুঁচুড়া (দুপুর ১.০০, বিকেল ৪.০০ এবং সন্ধে ৭.০০)
সিলভার স্ক্রিন, বহরমপুর (দুপুর ১২.৪৫, সন্ধে ৭.৪৫)
গুডউইন সিনেপ্লেক্স, শ্রীরামপুর (বিকেল ৫.০০)
আরও পড়ুন, ‘ভবিষ্যতের ভূত’ দেখতে চেয়ে আগেই অনীক দত্তকে ই-মেল করেছিলেন রাজ্য গোয়েন্দা আধিকারিক
প্রসঙ্গত, ছবিতে লাল, সবুজ, গেরুয়া বাহিনী, সাংবাদিকতার অন্ধকার দিক, সিনেমায় গুন্ডারাজ, সবকিছু নিয়েই সোজাসুজি আক্রমণে নেমেছিলেন পরিচালক। স্পষ্ট ইঙ্গিতে ‘মাচা’, ফিল্ম সিটির জন্য জমি দখলের প্রতিবাদ, ‘চড়াম চড়াম’, ‘অক্সিজেন’, ঘুষ নেওয়ার স্টিং অপারেশন, ইত্যাদি নানা বিষয় তুলে ধরেছেন অনীক। এখনও আশার আলো আছে। সুতরাং এইবেলা ছবিটা দেখে নিন। আর উপরোক্ত প্রেক্ষাগৃহগুলির আশেপাশে বসবাসকারী দর্শকদের তো বাড়তি সুযোগ রইলই।