‘মি টু’ ক্যাম্পেনে বলিপাড়া যখন সরগরম, ঠিক তেমন প্রেক্ষাপটেই ধর্ষণকে বিষয়বস্তু করে বানানো বাঙালি পরিচালকের নির্বাক ছবি এবার স্বীকৃতি পেল বিদেশের মাটিতে। বস্টনের মাটিতে এই প্রথমবার শিরোপা পেল নির্বাক ছবি ‘হোয়াইট’। বাঙালি পরিচালক অনীক চৌধুরীর এ ছবিই এবছর কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জায়গা করে খবরের শিরোনামে এসেছিল। সেই ছবিই এবার পুরস্কার জিতল। যে সে পুরস্কার তো মোটেও নয়, ক্রিটিকস চয়েস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ‘হোয়াইট’। এ খবর নিজেই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে জানিয়েছেন পরিচালক।
প্রথমবার এ ছবি পুরস্কার পেল, একথা বলতেই অনীক বললেন, "এই প্রথমবার এ ছবি পুরস্কার পেল। বস্টনে আয়োজিত ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ক্রিটিকস চয়েস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। বেশ ভাল লাগছে। টিমের জন্য এটা একটা আলাদা স্বীকৃতি।" তবে এ ছবি ভারতীয় দর্শক, বিশেষত বাঙালি দর্শক, কবে দেখার সুযোগ পাবেন? জবাবে পরিচালক বললেন, "খুব তাড়াতাড়ি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে লঞ্চ করা হবে। কথাবার্তা চলছে। বেশ কিছু ভাল অফার পেয়েছি। অক্টোবরে আমেরিকান ফিল্ম মার্কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এ ছবি। বিক্রির জন্যই ওখানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।" একইসঙ্গে অনীক বললেন যে, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ছবি লঞ্চ করলে অনেক দর্শকের কাছে পৌঁছবে।
আরও পড়ুন, ধর্ষণ নিয়ে আওয়াজ এবার কানে, মনোনীত বাঙালি পরিচালকের ছবি
ধর্ষণকে বিষয়বস্তু করেই নির্বাক ছবি ‘হোয়াইট’ বানিয়েছেন পরিচালক অনীক চৌধুরী। চলতি বছরের মে মাসেই কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এটি দেখানো হয়। তবে শুধু কানই নয়, কান ছাড়াও আরও আটটি চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়েছে এ ছবি। তবে পুজোর মুখে তাঁর ছবি পুরস্কার জিতলেও এখন পরিচালক ব্যস্ত তাঁর নতুন ছবি নিয়ে। দুটি শটেই একটা ছবি বানাতে চলেছেন অনীক, ছবির নাম 'ক্যাকটাস'। 'পিয়েতা'-র উপর ভিত্তি করেই এ ছবি বানানো হচ্ছে। তবে এ ছবিও নির্বাক।
অন্যদিকে, যাঁর ছবির বিষয়বস্তু ধর্ষণ, সেখানে সম্প্রতি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে 'মি টু' ক্যাম্পেন নিয়ে তিনি কী ভাবছেন? জবাবে অনীক বললেন, "এটা অনেকদিন আগে থেকেই হয়ে আসছে। যাঁরা ক্ষমতায় রয়েছেন, তাঁরা বরাবরই হেনস্থা করে আসছেন। এ ক্যাম্পেনের জন্য হলিউডকে ক্রেডিট দেওয়া উচিত। এটার জন্যই আজকাল বিভিন্ন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, কেন মহিলাদের ছবি কম বাছা হচ্ছে। তনুশ্রী দত্ত (অভিনেতা নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে) একটা বড় স্টেপ নিয়েছেন।" খানিকটা থেমে অনীক ফের বলতে শুরু করলেন, "বাংলাতেও অনেক নাম বেরিয়ে আসতে পারে। আসলে এই আওয়াজ তোলার ফলে মনোপলি ব্যাপারটা ধীরে ধীরে কমবে। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নোংরামো অনেকটাই কমবে।"