/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/12/shefali-2025-08-12-17-23-46.jpg)
চেনেন এই অভিনেত্রীকে?
খুব কম অভিনেতাই আছেন যাদের অভিনয়ের মান এমন উচ্চতায় থাকে, যে দর্শকদের, তাদের কাজে কোনও ত্রুটি খুঁজে বের করা প্রায় অসম্ভব হয়ে যায়। তারা হয়তো সর্বজনপ্রিয় স্টার নাও হতে পারেন। কিন্তু প্রতিটি চরিত্রে নিজের স্বকীয় ছাপ রেখে যান। এরই এক উজ্জ্বল উদাহরণ শেফালি শাহ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি শেয়ার করেছেন কীভাবে অভিনয় জগতে প্রবেশ করেছিলেন, মীরা নায়ারের সমালোচক প্রশংসিত মনসুন ওয়েডিং-এ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান এবং পরে বিয়ের জন্য নিজের কেরিয়ার শেষ করে দেন।
ফায়ে ডি'সুজার সঙ্গে আলাপচারিতায় শেফালি জানান, অভিনয় তাঁর প্রথম পছন্দ ছিল না। কলেজে নাটকে অংশ নেওয়া এবং থিয়েটারে কাজ শুরু করার পরই এই শিল্পের প্রতি আগ্রহ জন্মায়। এরপর বাণিজ্যিক থিয়েটারে যুক্ত হন, যেখানে কেউ তাঁকে টেলিভিশনের জন্য সুপারিশ করে। সেখান থেকেই শুরু হয় বিনোদন জগতে তাঁর যাত্রা। ১৯৯৩ সালে টিভি ধারাবাহিক তারা দিয়ে তাঁর শুরু। শেফালি বলেন, “অনেক দিন পর্যন্ত বুঝতেই পারিনি এটা আমার পেশা হবে, কিংবা আমি সারা জীবন এটা করব।”
টিভিতে অভিষেকের পরপরই তিনি রাম গোপাল ভার্মার রঙ্গিলা-তে ছোট্ট একটি চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান। তবে সেই চরিত্র নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন না। পরে সত্য ছবিতে আরজিভি নিজেই তাঁকে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে নেন। শেফালি স্মরণ করেন, “টিভির কারণেই সত্য করতে পেরেছিলাম। রঙ্গিলা-তে আমি ছিলাম সেই নায়িকা যে ড্রাইভারের সঙ্গে পালিয়ে যায়। ভেবেছিলাম চরিত্রটি বড় হবে, কিন্তু তা হয়নি। তখন আমার অপরিণত মনোভাবের জন্য ক্ষমা চাই।”
রঙ্গিলা-র অভিজ্ঞতার পর রাম গোপাল ভার্মা ভেবেছিলেন শেফালি হয়তো আর তাঁর সঙ্গে কাজ করবেন না। কিন্তু সত্য-র চিত্রনাট্য তাঁকে সেই কাজে রাজি করায়। অনুরাগ কাশ্যপ (ছবির চিত্রনাট্যকার) সরাসরি গল্প শোনাতে আসেন, আর সেখান থেকেই তৈরি হয় সত্য।
এই ছবিতেই তাঁর অভিনয় নজরে আসে মীরা নায়ারের, যিনি পরে তাঁকে মনসুন ওয়েডিং-এ কাজের প্রস্তাব দেন। প্রথম আলাপচারিতায় মীরা ভেবেছিলেন শেফালি ইংরেজি বলতে পারেন না। "সত্য মুক্তির পর মীরা আমাকে ফোন করে হিন্দিতে কথা বলতে বলতে বললেন, 'আমি জানি না তুমি ইংরেজিতে কথা বলতে পারো কিনা।' আমি বলেছিলাম পারি, আর সেটাই আমার কাছে প্রশংসার মতো ছিল। কারণ বুঝেছিলাম সত্য এত ভালো ছিল, যে তাঁর মত পরিচালক বুঝতেই পারেননি যে আমি হিন্দি ছাড়া আরও কিছু বলতে পারি।"
তবে মনসুন ওয়েডিং তাঁর কেরিয়ারে প্রত্যাশিত গতি আনতে পারেনি। কাজের চেয়ে বেশি সময় কেটেছে ভাল প্রোজেক্টের অপেক্ষায়। এই সময়েই তিনি অভিনয় ছেড়ে পরিবারে মনোযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বললেন, "যখন আমার কেরিয়ারে বড় কিছু হতে পারত, তখনই ভাবলাম বিয়ে করব, সন্তান নেব আর ঘরে থাকব।" মনসুন ওয়েডিংয়ের পর বিশেষ কোনো চিত্তাকর্ষক প্রস্তাবও পাননি তিনি।
শেফালি প্রথমে টিভি অভিনেতা হর্ষ ছায়াকে বিয়ে করেছিলেন, তবে চার বছর পর সেই বিয়ে ভেঙে যায়। পরে তিনি প্রযোজক-পরিচালক বিপুল অমৃতলাল শাহকে বিয়ে করেন।