ইরফান-হীন এক বছর পার। মরণের ওপারের অনুভূতি কেমন হয়? বরাবর ভাবাত ইরফান খানকে। আজ সেই ২৯ এপ্রিল, গত ১ বছর আগে ঠিক যেদিন চিরকালের জন্য এই দুনিয়া থেকে বিদায় নেন। ভারসোভার সমাধিস্থলে চিরনিদ্রায় শায়িত তিনি। ইরফান খান (Irrfan Khan) মানেই অভিনয়ের একটা গোটা প্রতিষ্ঠান। জীবদ্দশায় যে কটা ছবি উপহার দিয়ে গিয়েছেন দর্শকদের, তার প্রত্যেকটাতেই নিজের অভিনয়গুণে মুগ্ধ করেছেন। শুধু বলিউড নয়, পশ্চিমী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও নেহাত তাঁর গুণমুগ্ধের সংখ্যাটা কম ছিল না। নিউরো এন্ডোক্রিন টিউমারের সঙ্গে প্রকৃত যোদ্ধার মতো লড়াই করেও শেষ রক্ষা হয়নি। ক্যানসারই কাল হল। তাঁর অকাল প্রয়াণে কেঁদেছে শিল্পীমহল-সহ গোটা ভক্তকূল। মৃত্যুর সঙ্গে সাক্ষাতের পর আজও তিনি পরিবার-অনুরাগীদের মনে অমর। অভিনেতার পয়লা মৃত্যুবার্ষিকীতে আবেগঘন পোস্ট ইরফানের স্ত্রী সুতপা শিকদারের। ন্যাশনাল ড্রামা স্কুলের বাইরে কাটানো হাজারও স্মৃতি থেকে কাকার দোকানের এক বাটা দো চায়ে'র গল্প ফুটে উঠল সুতপার পোস্টে। প্রশ্ন ছুঁড়েদিলেন অদৃষ্টের লক্ষ্যে- "এখনও কি বয়ে যাওয়া নদীর থেকে জল তুলে পান করো?" জানালেন, মৃত্যুশয্যায় কীভাবে একনাগাড়ে ইরফানের প্রিয় গানগুলি গেয়ে চলেছিলেন, কীভাবে গত ২৯ এপ্রিল সকাল ১১.১১টায় তাঁর জীবন থমকে গিয়েছিল।
Advertisment
আবেগঘন পোস্টে বাবাকে স্মরণ করলেন পুত্র বাবিলও। গোটা একটা বছরে একাধিকবার বাবিল তাঁরা নানা পোস্টে বাবার কথা বলেছেন। আজও তার অন্যথা হয়নি। শেয়ার করলেন হাসপাতালে শুয়ে অভিনেতার শেষ দিনগুলির কথা। "বাবিল, আমাকে ছেড়ে যেও না। বাবার এই চিৎকার এখনও কানে ভাসে" তাঁর। "হাসপাতালের বেডে বাবা। ক্যাথিটার পরানো হবে। আমাকে কেবিন থেকে বেরিয়ে যেতে বলেছিলেন হাসপাতালের স্টাফরা। আমার মন মানছিল না। স্টাফরা আমাকে জোর করে বাইরে পাঠানোর সময়ে বাবা চিৎকার করে ওঠেন, বাবিল, আমাকে ছেড়ে যেও না।" বাবার এই বন্ধুত্বপূর্ণ, ছেলেমানুষি আচরণ আজও তাড়িয়ে বেড়ায় বাবিলকে। পোস্টে সেই স্মৃতিচারণই করলেন তিনি।