মানহানির অভিযোগ! কঙ্গনার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ কৃষক আন্দোলনের 'দাদি' মাহিন্দর

একশো টাকার বিনিময়ে ওই বৃদ্ধাকে কৃষক আন্দোলনে শামিল করার অভিযোগ এনেছিলেন কঙ্গনা।

একশো টাকার বিনিময়ে ওই বৃদ্ধাকে কৃষক আন্দোলনে শামিল করার অভিযোগ এনেছিলেন কঙ্গনা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Kangana

কৃষক আন্দোলনের অন্যতম মুখ মাহিন্দর কৌর এবার কঙ্গনা রানাউতের (Kangana Ranaut) বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ। অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, পাঞ্জাবের কৃষক পরিবারের আন্দোলনরত এই বৃদ্ধাকে তিনি অপমান করেছেন। সমস্যার সূত্রপাত আসলে, কঙ্গনা রানাউতের একটি টুইটকে ঘিরে। যেখানে মাহিন্দরকে (Mahindar Kaur) তিনি 'শাহিনবাগ দাদি' বিলকিস বানো বলে কটাক্ষ করেছিলেন। বলেছিলেন, তাঁকে নাকি টাকা দিয়ে ভাড়া করে আনা হয়েছে কৃষক আন্দোলনে। এই মন্তব্যে জোর শোরগোল হওয়ার পর কঙ্গনা টুইট মুছে দিলেও বিতর্ক কিন্তু এখনও পিছু ছাড়েনি। এবার মাহিন্দর মামলা দায়ের করলেন কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে।

Advertisment

বলিউডের 'কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন'-এর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ ও ৫০০ ধারায় মানহানির মামলা দায়ের করেছেন মাহিন্দর কৌর। আগামী ১১ জানুয়ারি আদালতে শুনানির দিন। আদালতে ৭৩ বছরের মাহিন্দর জানিয়েছেন, কঙ্গনার ওই টুইটের কারণে তাঁকে প্রবল মানসিক হেনস্তা ও অবমাননার শিকার হতে হয়েছে। তাঁর মানসিক শান্তিও বিঘ্নিত হয়েছে। পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন এবং আমজনতার কাছে তাঁর ভাবমূর্তিও নষ্ট হয়েছে। তাঁর আরও অভিযোগ, এমন মারাত্মক ভুল করার পরও ক্ষমা চাননি কঙ্গনা।

ঠিক কী হয়েছিল? সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে শাহিনবাগ আন্দোলনের অন্যতম মুখ বিলকিস দাদি নাকি দিল্লির রাজপথে কৃষক আন্দোলনেও শামিল হয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় এরকমই এক মন্তব্য করেছিলেন কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। যার জেরে অভিনেত্রীকে বেধড়ক ট্রোল করতেও ছাড়েননি নেটিজেনরা। এমন ভুয়ো মন্তব্যের জেরে ইতিমধ্যেই পাঞ্জাবের জিরাকপুরের হরকম সিং নামে এক আইনজীবী আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন কঙ্গনাকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, কৃষক আন্দোলনের অন্যতম মুখ পাঞ্জাবের মাহিন্দর কাউরকে তিনি ‘বিলকিস দাদি’ বলে চিহ্নিত করেছেন। যা অপমানেরই সমতুল্য। আর সেই অভিযোগ তুলেই কঙ্গনার ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছিলেন। এবার মাহিন্দর খোদ আদালতের দ্বারস্থ হলেন বলিউড কন্ট্রোভার্সি ক্যুইনের এমন বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে।

Advertisment

কঙ্গনা ওই টুইটে লিখেছিলেন, “হা! হা! ইনি তো সেই দাদি, যাঁকে টাইমস ম্যাগাজিনের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের তালিকায় রাখা হয়েছিল। এঁকে তো ১০০ টাকার বিনিময়েই পাওয়া যায়।” কঙ্গনাকে ছেড়ে কথা বলেননি তখন মাহিন্দর কৌর। জানিয়েছিলেন, এই বয়সেও তিনি যথেষ্ট পরিশ্রম করেন। কাস্তে দিয়ে ফসল কাটেন এবং ফসলের যত্ন নেন নিয়মিত। "আমি কী করব একশো টাকা দিয়ে? আমার তিন মেয়েরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছেলে তার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে আমার সঙ্গে থাকে", বলেছিলেন বৃদ্ধা। এবার মামলা দায়ের করলেন কঙ্গনার বিরুদ্ধে।

Kangana Ranaut Farmers Movement