নৃত্য জগতে ফের এক নক্ষত্রপতন। প্রয়াত যামিনী কৃষ্ণমূর্তি। ৮৪ বছর বয়সেই পাড়ি দিলেন না ফেরার দেশে।
দিল্লির এপোলো হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। পিটিআই সূত্রের খবর দুঃখ জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন বহুদিন ধরেই। সেই ৭ মাস ছিলেন আইসিইউতে। কিন্তু আর শেষ রক্ষা হলো না। স্বাধীনতা পরবর্তীতে জনপ্রিয় করার পেছনে তার অবদান ছিল অনস্বীকার্য।
বৃত্তের মাধ্যমেই বাজতেন তিনি ভারতনাট্যম এবং কুচিপুড়ির পাশাপাশি ওড়িশি নাচেও তার দখল ছিল সংঘাতিক। সংগীত নাটক একাডেমির তরফ থেকেও এসব জ্ঞাপন করা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন যামিনী কৃষ্ণমূর্তির প্রয়াণে আমরা গভীরভাবে দুঃখিত। তিনি ভরতনাট্যমের একজন কান্ডারী। এবং যেভাবে নাচের কিছু বিশেষ ফর্মকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, সেটি শব্দে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ভারত সরকারের তরফে পদ্মবিভূষণ এ ভূষিত তিনি।
চিত্তুরের মদনাপল্লীতে সংস্কৃত পণ্ডিত এবং শিল্প অনুরাগীদের পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, কৃষ্ণমূর্তি পরিবার সেখানে চলে যাওয়ার পরে তামিলনাড়ুতে বেড়ে ওঠেন। পঞ্চাশের দশকে চিদাম্বরমে বেড়ে ওঠা ছয় বছরের তেলুগুভাষী মেয়েটির কাছে তাঁর বাড়ি থেকে অনতিদূরে ২০০০ বছরের পুরনো থিল্লাই নটরাজা মন্দিরের মধ্যে রহস্যময় কিছু ছিল। নটরাজের তাণ্ডব সম্পর্কে বিভিন্ন দেবদেবী এবং কিংবদন্তি চিত্রিত ব্রোঞ্জের মূর্তি তাঁকে বিস্মিত করেছিল। মন্দিরের মাধুর্য ও জাঁকজমক এবং পাথরে দাঁড়িয়ে থাকা লোকদের জন্য ছোট্ট মেয়েটি মন্দিরে ঘুরে বেড়াচ্ছিল, তার স্কার্টটি ধরে বিস্ময়ে তাকিয়ে ছিল।
ষাট ও সত্তরের দশকের সদ্য স্বাধীন ভারতে – এমন একটা সময় যখন ধ্রুপদী নৃত্য সবে মন্দির ও দরবার থেকে বেরিয়ে প্রসেনিয়ামে পা রেখেছিল, তখন মঞ্চে ওঠা এবং নাচের জন্য দারুণ সময় ছিল। কয়েক বছর আগে ভারত স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, জিনিসগুলি স্থির হয়ে যাচ্ছিল এবং শিল্পকে নরম শক্তি হিসাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছিল "আমি সঠিক সময়ে এসেছি। এটি এমন সময় ছিল না যখন নাচকে পতিতাবৃত্তির প্রতি অবজ্ঞা করা বা সংযুক্ত করা হত। এটি একটি গুরুতর পেশা ছিল,"কৃষ্ণমূর্তি বলেছিলেন।