পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েই যশ দাশগুপ্ত (Yash Dasgupta) বলেছিলেন, যুব সমাজের জন্য কাজ করতে চান। রাজ্যে আরও কর্মসংস্থান হোক, বাংলার মানুষকে যাতে পেটের দায়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি না দিতে হয়, সেটাই তাঁর মূল লক্ষ্য। আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরে যশের এই যোগদানকে কিন্তু অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ ঘুঁটি বলে মনে করছেন। লক্ষ্যে স্থির অভিনেতাও। অতঃপর বুধবার কৈলাস-মুকুলদের হাত ধরে গেরুয়া মন্ত্রে দীক্ষিত হওয়ার পরই অমিত শাহর (Amit Shah) সঙ্গে দেখা করলেন যশ দাশগুপ্ত।
একুশের বিধানসভা ভোটের আগে অমিত শাহর ঘন ঘন বঙ্গসফর যে পদ্ম শিবিরের বিশেষ নির্বাচনী কৌশলী, তা বোধহয় আর আলাদা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। আর সেই প্রেক্ষিতেই আসন্ন ভোট নিয়ে আলোচনা করতে শুক্রবার শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে শাহী সাক্ষাৎ সারেন যশ দাশগুপ্ত। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ঠিক কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে, এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে অমিত শাহর সঙ্গে যশ দাশগুপ্তর এই সাক্ষাৎকে বেজায় গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। অমিত-যশের সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্তও।
কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, গেরুয়া শিবিরের তরফে প্রার্থী করা হতে পারে যশ দাশগুপ্তকে। কারণ, বাংলায় যে অভিনেতার একটা বিশেষ সংখ্যক অনুরাগী রয়েছে, বিধানসভা ভোটে সেই 'সংখ্যা-ত্বত্ত্ব' ভোটবাক্সেও প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মনে করছেন বিজেপির একাংশ। যশ যদিও তাঁকে ভোটপ্রার্থী করা হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত দলের উপরই ছেড়ে দিয়েছেন। তবে রাজনীতির ময়দানে তিনি যে পাকাপাকিভাবেই নামলেন সেকথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন অভিনেতা।
এপ্রসঙ্গে যশের মন্তব্য, "আমি পার্টটাইম রাজনীতি করতে আসিনি। সময় দিতে চাই। একদম শিকড়ে পৌঁছে মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। চারপাশে যেসব উদাহরণ চোখে পড়ে, তার চেয়ে অন্যরকম উদাহরণ তৈরি করতে চাই। আমাকে বিজেপি থেকে বলা হয়েছে, একটা পদ দিয়ে, তারপর হাত বেঁধে রাখা হবে না। আমি যে কাজগুলো করতে চাই, করতে দেওয়া হবে। সে কারণেই এই দলে এলাম। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি শ্রদ্ধা করি।"