পুজোর সময়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় যশ দাশগুপ্তের প্রতি প্রেম জাহির করেছিলেন নুসরত জাহান। আর এবার একেবারে প্রকাশ্যেই ভালবাসার উদযাপনে মেতেছেন টলিউডের এই তারকাজুটি। তাও আবার ভূ-স্বর্গে। রিল নয়, রিয়েল লাইফেই কাশ্মীর উপত্যকার বুকে রোম্যান্সে মেতে উঠেছেন যশ-নুসরত। নেটমাধ্যম তো অন্তত তাই জানান দিচ্ছে।
এই মুহূর্তে কাশ্মীরে 'চিনেবাদাম'-এর শুটে রয়েছেন যশ দাশগুপ্ত (Yash Dasgupta)। আর তাঁর সঙ্গী হয়ে গিয়েছেন নুসরত জাহানও (Nusrat Jahan)। দিন দুয়েক আগেই বিমানবন্দর থেকে ছবি শেয়ার করে জানান দিয়েছিলেন। এবার ভূ-স্বর্গে গিয়ে যশরতের রোমান্স ফ্রেমবন্দী হল। পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিকের ফ্রেমে এনা সাহাকে 'চিনেবাদাম' সঙ্গী করলেও, কাশ্মীরে কিন্তু ঘরণির সঙ্গে বেজায় রোম্যান্টিক মুডে রয়েছেন যশ দাশগুপ্ত। পরিচালক খোদ যশরত জুটির সঙ্গে ছবি শেয়ার করেছিলেন মঙ্গলবার। আর এবার তো নুসরত নিজেই ডাল লেকের শিকারায় এক চরম রোম্যান্টিক মূহূর্ত শেয়ার করলেন।
<আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই বিয়ের পিঁড়িতে ভিকি-ক্যাটরিনা, বিখ্যাত ডিজাইনারের লেহেঙ্গায় সাজবেন অভিনেত্রী>
নায়িকার ইনস্টারিলে দেখা গেল, ডাল লেকের বুকে শিকারায় বসে যশের হাতে হাত ঘষছেন তিনি। নায়কের হাতে পরনে বাগদানের হিরের আংটি জ্বলজ্বল করছে। নেপথ্যে আমির খান অভিনীত 'ফানাহ' ছবির জনপ্রিয় গান- 'মেরে হাত মে…'। আর যশরতের সেই রোম্যান্টিক ভিডিও দেখেই শোরগোল জুড়ে দিয়েছেন অনুরাগীরা।
নুসরত-যশ গোপনেই বিয়ে সেরেছেন কিনা, সেই ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি। তবে তার মাঝেই অভিনেত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, সন্তান ঈশানের বাবা যশ-ই। নিখিল জৈনের সঙ্গে বিচ্ছেদ থেকে শুরু করে সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর থেকে এযাবৎকাল বহু কটাক্ষ-সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে নুসরতকে। তবে নিন্দুকরা যাই বলুক না কেন, সেসবে পাত্তা না দিয়ে যে স্বামী যশের সঙ্গে কাশ্মীরে মধুচন্দ্রিমায় মেতেছেন নুসরত, তা বলাই বাহুল্য।
প্রসঙ্গত, পঞ্চমীর দিনই যশের জন্মদিন উপলক্ষে তাঁকে ‘স্বামী’ এবং ‘সন্তানের বাবা’ বলে সম্বোধন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন নুসরত। গভীর রাতে একটি কেকের ছবি শেয়ার করেছিলেন অভিনেত্রী। সেই কেকের উপরেই ছিল বিশেষ বার্তা। ইংরেজি হরফে লেখা YD। যা কিনা অভিনেতার নাম-পদবীর আদ্যক্ষর। কেকের একদিকে দেখা গেল এক বাবা-সন্তানের অবয়ব। তাতে লেখা ‘ড্যাড’। অন্যদিকে দেখা গেল এক জুটির অবয়ব, তাতে উল্লেখ ‘হাসব্যান্ড’-এর । অতঃপর যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে নুসরত জাহানের সম্পর্কে যে আর কোনও রাখঢাক রইল না, তা বলাই যায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন