ওরা প্রত্যেকেই অনাথ। মা-বাবা নেই। অতঃপর বাবা-মা-হারা মেয়েগুলোর ঠাঁই হয়েছে অনাথ আশ্রমে। সেখানেই স্বচ্ছন্দ্যে চলে তাঁদের পড়াশোনা, খেলাধূলো, হাতের কাজ। সিনেমার খবরও তারা রাখে বইকী! টলিউডের সুদর্শন নায়ক যশ দাশগুপ্তের (Yash Dasgupta) অন্ধভক্ত সব। 'বোঝে না সে বোঝে না'র অরণ্যকে তাদের দিব্যি মনে ধরেছে। আর তাই ধারাবাহিক শেষ হওয়ার এতগুলো বছর পরেও ভুলতে পারেনি অভিনেতাকে। আর এহেন মহিলা অনুরাগীদের খবর-ই যখন পৌঁছল যশের কাছে, তিনি আর দেরি করলেন না। শুট শেষ করে হঠাৎ-ই ঢুঁ মেরে এলেন মহিলাদের সেই হোম থেকে। তারপর যা ঘটল…!
Advertisment
প্রিয় অভিনেতাকে চোখের সামনে পেয়ে তো একেবারে ভূত দেখার মতো অবস্থা আবাসিকের প্রত্যেকেরই। তার উপর যখন উনি নিজে যেচে এসে জিজ্ঞেস করেন- আমের আচার না জলপাইয়ের আচার প্রিয়? উত্তর দেবে কি, লজ্জায় হেসেই গড়িয়ে গেল ওরা। ওদিকে পুঁচকে মহিলা অনুরাগীদের সান্নিধ্যে এসে বেজায় উচ্ছ্বসিত যশ দাশগুপ্তও।
আবাসিকের মেয়েদের হাতে তুলে দিলেন কিছু খাবার। ভবানীপুরের হরিশ মুখার্ডি রোডের 'প্রেরণা শেল্টার হোম ফর উইমেন'। পথচলতি রাস্তায় অনেকেই হয়তো দেখেছেন। সেটাই ওই অনাথ মেয়েগুলো স্বপ্নের আস্তানা। আর মঙ্গলবার বিকেলে তাদের আস্তানায় যখন হঠাৎ-ই ধূমকেতুর মতো ঢুকে পড়লেন টলিউড স্টার যশ দাশগুপ্ত, তখন ওদের আনন্দ আর দেখে কে! প্রত্যেকেই উচ্ছ্বসিত। প্রিয় অভিনেতাকে দেখে হট্টগোল জুড়ে দিল। অটোগ্রাফও নিল। যশও মন দিয়ে শুনলেন ওদের প্রত্যেকের কথা।
উল্লেখ্য, বিদায়বেলায় কিন্তু অভিনেতা ওই মহিলা আবাসিকের কর্তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছেন, কখনও কোনও প্রয়োজন হলে তাঁরা যেন স্বচ্ছন্দ্যে যশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পাশে রয়েছেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন