মাসকাট থেকে কলকাতা, তাও আবার একেবারে বাংলা কর্মাশিয়াল সিনেমার মুখ্য চরিত্র হিসেবে। জার্নিটা এত সহজ হবে নিজেও জানতেন না নবাগতা সঞ্জনা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম ঝলক থেকেই ধোঁয়াশা রাখা হলেও অবশেষে তাঁর ছবি 'ফিদা' মুক্তি পাচ্ছে অদূর ভবিষ্যতেই। মুক্তির আগে কথা বললেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-র সঙ্গে।
মাসকাট থেকে টালিগঞ্জের রাস্তাটা কতটা মধুর ছিল?
সত্যি বলতে আমি নিজেকে খুব ভাগ্যবতী মনে করি, কারণ এখনও আমি 'ডাউনস' অতটা দেখিনি। আমি অনেক সাহায্য পেয়েছি মা-বাবার কাছ থেকে, প্রযোজনা সংস্থার কাছ থেকে।
একবছর হল শিফট করেছেন...
হ্যাঁ! আমার জন্ম, বড় হওয়া সবটাই ওমানে। কিন্তু নাড়ীর টানটা ছিলই। তাই চলে আসা। এসেই মডেলিং করতে শুরু করি। তবে বেছে বেছে কাজ নিতাম, কারণ জানতাম যে তাহলেই ঠিক মানুষগুলোর চোখে পড়ব (হাসি)।
আর সেটাই তো হল....
একদম। সিমবায়োসিসও (শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) ছাড়তে হয়েছে আমার কেরিয়ারের জন্যে। প্রচুর মডেলিংয়ের অফার আসতে শুরু করল তাই দুদিক ব্যালেন্স করতে ওপেন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হলাম। তারপরই এই অফারটা পাই। এমনকি প্রমোশনের আগেই পরীক্ষা শেষ হল।
বলিউডে ভাল অফার পেলে নিশ্চয়ই যাব, বলছেন সঞ্জনা। ছবি: শশী ঘোষ
প্রথম দিনের শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
ওহ মাই গড! আমি তো আগের দিন খুব ভাল করে চর্চা করেছি যে প্রথম দিন গিয়ে ফাটিয়ে দেব, সবাইকে ইমপ্রেস করে ফেলব। কিন্তু যেই রোল ক্যামেরা অ্যাকশন বলল, আমি ব্ল্যাঙ্ক। কিচ্ছু মনে পড়ছে না। তারপর যশ আমায় আশ্বস্ত করে ভ্যানিটিতে পাঠাল, ফিরে এসে অনেকগুলো টেক নিয়ে শটটা দিয়েছিলাম। ওই দিনটা মনে পড়লেই এখনও লোম খাড়া হয়ে যায়।
ছবির 'খুশি'-র মতোই কী বাস্তবের সঞ্জনা?
'ফিদায়' আমার চরিত্রটার দুটো ফেজ বা পর্যায় আছে। প্রথমটায় কলেজ-গোয়িং হাসিখুশি প্রাণবন্ত মেয়ে, লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইটে বিশ্বাস করে না। আর দ্বিতীয় ভাগে নিজের পায়ে দাঁড়ানো ম্যাচিয়র মেয়ে। আমি প্রথম পর্বটাতেই আছি। বয়সটাও তো কাছাকাছি (হাসি)।
পর্দার বাইরের সঞ্জনা লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইটে বিশ্বাস করে?
না! লাভ তো হয়েছে, তবে প্রথম দেখায় না। কোনদিন হয়নি, আমার প্রেমে পড়তে একটু সময় লাগে।
'ফিদা' ছবির শুটিংয়ে যশ-সঞ্জনা
'ফিদা' কেন দেখবেন দর্শক?
আমার প্রথম ছবি, এটা না দেখলে দর্শক আমার কাজ বুঝবেন কী করে? 'ফিদা' লাভ স্টোরি, আদ্যপান্ত রোমান্টিক একটা ছবি, এবং ভালবাসার ছবি দেখতে তো সবারই ভাল লাগে।