Advertisment

"দাদু কেঁদো না, তুমিও বাড়ি আসবে খুব তাড়াতাড়ি"

হাসপাতালে লেখালেখির মধ্যেই নিজেকে নিয়োজিত করেছেন অমিতাভ বচ্চন। কবে হাসপাতাল থেকে মুক্তি পাবেন জানেন না তিনি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ঐশ্বর্য রাই বচ্চন এবং তার আট বছরে মেয়ে আরাধ্যা বচ্চন কোভিড মুক্ত হয়ে সোমবার নানাবতী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে। হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার আগে ছোট্ট আরাধ্যা তার দাদু অমিতাভ বচ্চনকে আশ্বাস দেয় যে, সে শীঘ্রই বাড়ি ফিরে আসবে।

Advertisment

সোমবার রাতে সিনিয়র বচ্চন তার ব্লগে জানিয়েছে যে ঐশ্বর্য এবং আরাধ্যা কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পর তার মনে স্বস্তি ফিরেছে। তিনি লিখেছেন, "... বহুরানি ও নাতনি বাড়ি ফিরেছে। চোখ থেকে অঝরে জল পড়ছে। তবে আরাধ্যা আমাকে কাঁদতে না করেছে। সে জানিয়েছে তুমি শীঘ্রই বাড়ি ফিরে আসবে। আমি অবশ্যই তাকে বিশ্বাস করি"।

হাসপাতালে লেখালেখির মধ্যেই নিজেকে নিয়োজিত করেছেন অমিতাভ বচ্চন। কবে হাসপাতাল থেকে মুক্তি পাবেন জানেন না তিনি। তবে তাঁর এই লেখা বইতে ছাপানোর কথা ভেবেছেন অভিনেতা। গত দুদিনে ব্লগে তিনি জানিয়েছেন, কিভাবে তার ঘুমের সময় তার মন চিন্তায় ভরে উঠছে।

প্রসঙ্গত, হাসপাতালের ঠান্ডা ঘরে যখন সে দুচোখের পাতা এক করতে পারছে না। তখন তাঁর বারবার মনে পড়ছে বাবা হরিবংশ রায় বচ্চনের কথা। রবিবার রাতে একটি ভিডিও শেয়ার করে তিনি জানিয়েছেন, এই ভিডিওতে যে কবিটাটি আমি পাঠ করছি , সেটি আমার বাবার লেখা।

তিনি আরও জানিয়েছেন, আমার বাবার লেখা কবিতার বেশ কিছু অংশে, সে ব্যবহার করতেন যে সে বেশ কিছু কবির মাঝে রয়েছেন। হাসপাতালের একাকীত্বে আমার বাবাকে বারবার মনে পড়ছে। আমার বিনীদ্র একা থাকার রাত জুড়ে রয়েছে বাবার বলা কথা।

একাকীত্ব ঘিরে ধরেছে অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনকে। সেই যন্ত্রণার কথা ধরা পড়ল তাঁর লেখা ব্লগে। কোভিড-১৯ কাত করেছে ছয় ফিটের বৃদ্ধ মানুষটিকে। জ্বরের কাঁপুনি স্যালাইন আর ওষুধে ঝিম ধরেছে গোটা শরীরে। ১৫ দিনের ও বেশি দিন ধরে করোনার সঙ্গে জুঝছেন অমিতাভ।

Read the full story in English

amitabh bachchan Abhishek Bachchan
Advertisment