রাজ-শুভশ্রীর পুত্র ইউভান সবসময় নিজের দুষ্টু মিষ্টি স্বভাবের জন্য আলোচনায় থাকেন। বিশেষ করে মায়ের ক্যামেরায় মাঝেমধ্যেই দেখা যায় তাঁকে। এমনকি, এও দেখা যায় মায়ের সঙ্গে খুনসুটিতে মেতেছে সে।
আর বোন হওয়ার পর থেকে তো, তাঁর দায়িত্ব অনেক বেড়েছে। দাদা ইউভান এখন বোনের খেয়াল রাখার পাশাপাশি মায়ের সঙ্গেও যে তাঁর বন্ধন কতটা অর্থবহ, তাঁরই প্রমাণ দিলেন আজ। পুজো মানেই আনন্দ। কিন্তু, বিজয়ার দিন, বিষাদ ঘিরে নেয় মানুষকে। শুভশ্রী নিজেও বিষাদের মাঝে ঠাকুর বরণে গেলেন। আর তাঁর ছেলে...
মা বোধহয় এমনই হয়। কেন? শুভশ্রীর সঙ্গে ইউভান গিয়েছিল মা দুর্গার সঙ্গে দেখা করতে। পরনে সাদা লাল রঙের পাঞ্জাবি, একরত্তি ইউভান যে সকলের মন কেড়ে নেবে, এটুকু পরিস্কার। শুভশ্রী উঠলেন বরণ করতে। আর পুঁচকে ইউভান কোনওমতেই মাকে ছাড়বে না। বেদীর ওপরে এত ভিড়। তাঁকে সকলেই বলছে নেমে যাওয়ার জন্য। কিন্তু, না! সে মাকে ছেড়ে নামবে না।
উল্টে তাঁকে যত বলা হচ্ছে নামার কথা, তাঁর কান্নাকাটি শুরু। পরিচালক রাজের ক্যামেরায় ধরা পড়ল সেই মিষ্টি দৃশ্য। শুভশ্রীর শাড়ির কোণা ধরে দাঁড়িয়ে আছে সে। কোনওমতেই মাকে ছাড়া যাবে না। শেষ পর্যন্ত, মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে থাকল সে। তারপর, মায়ের বরণ শেষ হতেই তাঁর হাত ধরেই স্টেজ থেকে নামল সে।
আর এই দৃশ্য মন ছুঁয়ে গিয়েছে বেশিরভাগের। কেউ বলছেন, এত মিষ্টি বরণ করতে আগে দেখিনি। আবার কেউ বললেন, কী দারুণ সুন্দর বরণ করছে। আবার কারওর কথায়, এত সুন্দর বরণ আগে দেখিনি। কেউ আবার রাজ চক্রবর্তীর প্রশংসা করে এও বললেন, বর পরিচালক হলে যা হয়, খুব সুন্দরভাবে মুহূর্ত ক্যাপচার করতে পারে।
উল্লেখ্য, শুভশ্রী এবং রাজের এবারের পুজো খুব স্পেশ্যাল কারণ, মেয়ে ইয়ালিনি তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন। গতবছর যখন বরণ করতে গিয়েছিলেন, তখন ইয়ালিনি গর্ভে। আর এবার তাঁকে নিয়েই পুজো কাটিয়েছেন তিনি।