Zaheer-Sonakshi Viral Video: চলতি বছরের ২৩ জুন জাহির ইকবালের সঙ্গে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হন বলি ডিভা সোনাক্ষী সিনহা (Sonakshi Sinha)। বিয়ের পর সুখী গৃহকোণের রঙিন মুহূর্তগুলো সমাজমাধ্যমের পেজে ভাগ করে নেন দাবাং গার্ল। বিয়ের ছয় মাসের মধ্যে কী এমন ঘটল যার জন্য মাঝ সমুদ্রে সোনাক্ষীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল জাহির!
সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবানলের গতিতে ভাইরাল সেই ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে সাগরমুখী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে সোনাক্ষী আর পিছন থেকে এসে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলেন জাহির (Zaheer Iqbal)। তারপর ঢেউয়ের মাঝে চিল চিৎকার! কী ভাবছেন জাহির তাঁর স্ত্রীক সোনাক্ষীকে...
না, আসলে ব্যাপারটা পুরোটাই মজার। অভিনেত্রীর পোস্টের ক্যাপশন দেখলেই তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সোনাক্ষী লিখেছেন, 'এই ছেলেটা শান্তি করে একটা ভিডিও করতে দেবে না।' ভিডিও-র শেষটা তো আরও মজার। ঢেউয়ের মাঝে সোনাক্ষীকে হাবুডুবু খেতে দেখে হেসে কুটোপুটি জাহির। এরপর কোনওক্রমে উঠে জাহিরের পিছনে ছুটছেন শত্রুঘ্ন কন্যা। ইনস্টা অ্যাকাউন্টে সেই ভিডিও নিজেই শেয়ার করেছেন জাহির ঘরণী। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ায় ছুটির মুডে জাহির-সোনাক্ষী। সেখান থেকে একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করেছেন তারকা দম্পতি।
ঘুরতে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর দুষ্টুমির মুহূর্তগুলোও শেয়ার করেছেন জাহির। সম্প্রতি অভিনেতা মুকেশ খান্নার সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সোনাক্ষী। অতীতে কৌন বনেগা ক্রোড়পতিতে রামায়ন সংক্রান্ত ভুল উত্তর দেওয়া নিয়ে বিদ্রুপ করেছেন মুকেশ। শুধু তাই নয় ধর্মজ্ঞান নিয়ে শত্রুঘ্ন সিনহাকেও খোঁচা মারতে পিছপা হয়নি পর্দার শক্তিমান। এদিকে ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নন সোনাক্ষীও। চাঁছাছোলা ভাষায় পালটা আক্রমণ করেছেন সোনাক্ষীও।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ বিবৃতি দিয়ে বর্ষীয়ান অভিনেতা মুকেশকে আগেই সতর্ক করেছেন সোনাক্ষী। তিনি লেখেন, 'প্রিয় মুকেশ খান্নাজি…সম্প্রতি একটি বিবৃতিতে পড়লাম যে আপনি বলেছেন এটা আমার বাবার দোষ যে আমি বহু বছর আগে একটি শোয়ে রামায়ণ সংক্রান্ত প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারিনি। আপনাকে মনে করিয়ে দিই সেদিন হট সিটে দুইজন মহিলা বসেছিলেন যাঁরা একই প্রশ্নের ঠিক উত্তর দিতে পারেনি। কিন্তু আপনি আমাকে আক্রমণ করলেন'।
আরও পড়ুন: 'হিন্দু ধর্মের অভিভাবক হিসেবে...', সোনাক্ষীর ধর্মীয় জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই মুকেশকে খোঁচা শত্রুঘ্নর
অভিনেত্রী যোগ করেন,' হ্যাঁ আমি হয়তো সেদিন ব্ল্যাঙ্ক হয়ে গিয়েছিলেন। ভুলে গিয়েছিলেন কার জন্য সঞ্জীবনী বুটি নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু আপনি তো স্বয়ং ভগবান রামের দেওয়া ক্ষমা করা ও ভুলে যাওয়ার শিক্ষা মনে রাখেননি'। সোনাক্ষী প্রশ্ন তোলেন, রামচন্দ্র যদি মন্থরা, কৈকেয়ী এবং সর্বোপরী রাবণকে ক্ষমা করতে পারেন তাহলে মুকেশ খান্না কেন পারেন না? শত্রুঘ্ন কন্যা অবশ্য একটা বিষয় স্পষ্ট করে দেন, মুকেশ খান্নার ক্ষমার কোনও প্রয়োজন তাঁর নেই।
পরিবারের অপমান তিনি কোনওভাবেই মেনে নেবেন না তাও বুঝিয়ে দেন সোনাক্ষী। মুকেশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সোনাক্ষী লেখেন,' পরেরবার যদি আমার বাবার দেওয়া মূল্যবোধ নিয়ে কিছু বলার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে দয়া করে মনে রাখবেন সেই মূল্যবোধের জন্যই সম্মানের সঙ্গে এই কথাগুলো বললাম। আমার লালন-পালন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আপনার সুস্থতা কামনা করি।'