নেশার জিনিসের প্রতি এত আসক্তি? যে বউকে ছাড়তেও একবিন্দু দ্বিধাবোধ করল না নোবেল। শেষ কিছুদিন কুড়িগ্রামের ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ছিঃ ছিঃ রব। মদ্যপ অবস্থায় স্টেজে উঠে বিশ্রী আচরণ নোবেলের। তারপরই বিরাট সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁর স্ত্রী সালসাবেল।
পারিবারিক সিদ্ধান্তেই নোবেলের স্ত্রী আইনি বিচ্ছেদের ঘোষণা করেছেন। অনেকেই জানেন, দীর্ঘদিন তাঁদের আইনি বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই ঘটনা সত্যি নয়। শেষ কিছুদিন ধরেই তাঁর স্টেজে উঠে বিশ্রী আচরণ। দর্শকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার… একরকম রেগে আগুন তাঁর অনুরাগীরা। এমনকি সূত্রের খবর, অনুষ্ঠানের দিনও জল ছুড়ে, জুতো ছুঁড়ে তাঁকে স্টেজ থেকে নামতে বাধ্য করেন সকলে। মদের নেশাতেই নোবেলের এই অবস্থা।
একসময় নোবেল জানান, তাঁদের মধ্যে আইনি বিচ্ছেদ সম্পন্ন এবং এই কারণেই নাকি মানসিক অবসাদে ভুগছেন তিনি। যদিও সত্যি সামনে আনলেন তাঁর স্ত্রী সালসাবেল। তার কথায়, “আমি হয়তোবা আগে ক্লিয়ার করিনি ব্যাপারটা যেহেতু আমরা দুজনেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ডিভোর্স রেজিষ্ট্রেশনটা উকিলকে বলে হোল্ডে রেখেছিলাম। কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পরও যখন আমার ও নোবেলের কথা হয় আমি তাকে শেষবারের মতো মাদকদ্রব্য ছাড়ার কথা এবং চিকিৎসা নেবার জন্য জিজ্ঞেস করি। সে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেয় সে কখনো মাদক ছাড়বে না এবং বলে, “নেশা ছাড়লে তো আগেই ছাড়তাম লল” এরপর আমি আমার পারিবারিক সিদ্ধান্তে আমার ডিভোর্স রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করি। ধন্যবাদ।”
এখানেই শেষ নয়। প্রাক্তন স্বামীকে শুভকামনা জানালেন তিনি। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে এক বিস্ফোরক মন্তব্যও করলেন। নেশা ছাড়তে পারবেন না নোবেল। কিন্তু এই নোবেল আগে মোটেও এমন ছিলেন না। সালসাবেলের কথায়, “ওর এই অবস্থার জন্য ও একা দায়ী নয়। আমার প্রাক্তনকে আমি শুভকামনা জানাই । নোবেল কখনোই এতো অসুস্থ ছিলো না । এমন না যে নোবেলের আজকের এই অবস্থার জন্য ও শুধু একা দায়ী । অবশ্যই সে নিজেই সবচেয়ে বেশি দায়ী কিন্তু তার মাদকদ্রব্য প্রাপ্তি ও আসক্তির ক্ষেত্রে অনেক ক্ষমতাশালী মানুষদের অবদান আছে। সরকারি প্রশাসনিক উর্ধতন কর্মকর্তা , রাজনীতিবিদ, ক্ষমতাশালী ব্যাবসায়ী। যাদের আগের ক্রিমিনাল রেকর্ড আপনারা নিউজে দেখেছেন অথবা এখনো দেখেননি। কিন্তু নোবেলের আশে পাশে তাদের অবশ্যই দেখেছেন এবং দেখে থাকবেন।”
এপার বাংলার শো সারেগামাপা দিয়েই নোবেলের উত্থান। দুই বাংলাতেই রক মিউজিকের ঝড় তুলেছিলেন তিনি। তাঁকে ভালবাসতেন সকলে। তবে, চ্যাম্পিয়নের ট্রফি হাতে না ওঠার পর থেকেই নানা অশালীন মন্তব্য, এবং পরবর্তীতে তাঁকে নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। অন্তত, তাঁর এই নেশার ঘোরে গান গাওয়ার বিষয়টিকে সমর্থন করছেন না কেউই। ধিক্কার জানাচ্ছেন শিল্পীকে।