বিগত দুমাসে মানুষ অনেক কিছু দেখেছেন, নতুন করে জেনেছেন। বেঁচে থাকার অভ্যাসগুলো পাল্টে গিয়েছে। এমন অনেক অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে করোনার যুদ্ধে প্রথম সারিতে থাকা চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীরা, যা হয়তো তাঁদের জীবনকে দেখার চোখটাই বদলে দিয়েছে। এমন নানান অভিজ্ঞতা নিয়েই আসছে জি বাংলা-র সিরিজ 'লকডাউন ডায়েরিজ'।
এই সিরিজটি লকডাউনে বসেই, সোশাল ডিসট্যান্সিং এবং অন্যান্য নিয়মাবলী মেনে তৈরি করা। এই সিরিজে থাকছে ৬টি গল্প যার সম্প্রচার শুরু হবে আগামী সপ্তাহ থেকে। বাংলা বিনোদন জগতের বহু জনপ্রিয় তারকাকে দেখা যাবে, সঙ্গে দুই খুদে অভিনেতা যাঁদের মধ্যে একজনের ক্যামেরায় অভিনয়ের হাতেখড়ি হল এই সিরিজে।
আরও পড়ুন: টেলিপর্দায় ফিরছে ‘শ্রীরামকৃষ্ণ’, প্রায় দু’দশক পরে
ক্যামেরা বলতে নিছকই মোবাইল ক্যামেরা। যেভাবে লকডাউনে বসে অন্যান্য সিরিজ ও শর্ট ফিল্মগুলি তৈরি হয়েছে, এই সিরিজটিও সেভাবেই নির্মিত। অভিনেতারা মোবাইল ক্যামেরাতেই, পরিচালকের নির্দেশ মতো শুটিং করে পাঠিয়েছেন। সেগুলি এডিট করে তৈরি হয়েছে এপিসোডগুলি। অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ এবং কঠিন কাজ কিন্তু জি বাংলা-র 'লকডাউন ডায়েরিজ'-এর টিম তা করেছে উৎসাহভরে।
শুধুমাত্র বিনোদন এই সিরিজের উদ্দেশ্য নয়, মানুষের কাছে মানুষের গল্প পৌঁছে দেওয়াই এই সিরিজের লক্ষ্য। এই প্রসঙ্গে জি এন্টারটেনমেন্ট লিমিটেডের ক্লাস্টার হেড-ইস্ট সম্রাট ঘোষ বলেন, '''লক়ডাউন ডায়েরিজ' হল মানুষের অদম্য প্রাণশক্তির প্রতি আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ। এই ফিকশন মিনি সিরিজের মাধ্যমে আমরা আমরা বিভিন্ন মানবিক সম্পর্ক, মূল্যবোধ, ও ইতিবাচক ভাবনা তুলে ধরতে চাইছি দর্শকের কাছে। এই গল্পগুলি বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষের অভিজ্ঞতা থেকে পাওয়া। কোনওটা হয়তো চিকিৎসাক্ষেত্রে কাজ করা ফ্রন্টলাইন যোদ্ধার গল্প। কোনওটা আবার শহরের খুব চেনা কোনও সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প। সব গল্পগুলির মাধ্যমেই আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ আরও ধৈর্যশীল হতে, আরও মানবিক হতে, আরও বেশি করে সহানুভূতিশীল হতে।''
এই মিনি সিরিজটি শুরু হচ্ছে ২৫ মে থেকে। রাত নটার স্লটে, সপ্তাহে ৬দিন সম্প্রচার হবে এই সিরিজ। বিভিন্ন চরিত্রে রয়েছেন রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষ, গৌরব চট্টোপাধ্যায়, দেবলীনা কুমার, বিদীপ্তা চক্রবর্তী, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, সাহেব চট্টোপাধ্যায়, তনিমা সেন, শাওন দে প্রমুখ। এছাড়া রয়েছে দুই খুদে অভিনেতা মার্গঋষি দে ও অরিত্র দাস।