/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/09/lead-66.jpg)
ছবি: নীল ভট্টাচার্যের ফেসবুক পেজ থেকে
Neel Bhattacharya loves Durga Puja bhasan and dhunuchi dance: শারদোৎসবের জন্য সব বাঙালিই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন। কয়েক মাস ধরে চলে পুজোর প্ল্যান। অনেকেই এই সময়ে লম্বা ছুটি পেয়ে দূরদূরান্তে পাড়ি দেন কিন্তু সেই দলে কখনোই নাম লেখাতে চান না নীল ভট্টাচার্য। 'কৃষ্ণকলি'-নায়ক পুজোর সময় এমনকী কলকাতার বাইরেও পা রাখেন না। ছোটবেলা থেকে এই শহর ঘিরেই তাঁর যাবতীয় পুজোর স্মৃতি। পুজোর কলকাতার টান এতটাই তীব্র যে নীল বলেন পুজো মানেই কলকাতা। তা ছাড়া অন্য কিছু ভাবতেও পারেন না তিনি।
''দুর্গাপুজোর সময় সব বাঙালিদেরই কয়েকটা জিনিস থাকে টু-ডু লিস্টে। তার মধ্যে প্রথম অবশ্যই দুর্গা ঠাকুর দেখা। আর আমার না লাইন দিয়ে দুর্গা ঠাকুর দেখতে খুব ভালো লাগে। অনেকের ভিড় পছন্দ না। কিন্তু আমার কাছে ওসব কোনও ব্যাপারই না'', বলেন নীল, ''আমি তো সাউথে বড় হয়েছি। একডালিয়া এভারগ্রিন থেকে নিয়ে লাইন দিয়ে পর পর ঠাকুর দেখে দেশপ্রিয় পার্ক অবধি আমরা হাঁটতাম। তার পরে দেশপ্রিয় পার্কের মেলায় যেতাম, হুইলে চড়তাম।''
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/09/2-20.jpg)
আরও পড়ুন: সকালে মা দুর্গাকে নুন-লেবুর জল! অভিনেত্রী ঈশিতা শোনালেন চারুভবনের পুজোর গল্প
ছোটবেলার সেই প্যান্ডেল হপিংয়ের নেশা এখনও পুরোমাত্রায় বজায় রয়েছে নীলের। আরও একটা অভ্যাস তিনি বজায় রেখেছেন, তা হল অষ্টমীর অঞ্জলি। ছোটবেলায় তাঁর মায়ের কড়া নির্দেশ থাকত, নির্দিষ্ট সময়ে রেডি হয়ে অঞ্জলি দিতে যেতেই হবে। বড় হয়ে সেই অভ্যাস কিন্তু ছাড়েননি নায়ক। এখনও অষ্টমীর সকালে বাবা-মায়ের সঙ্গেই অঞ্জলি দেন নীল। সঙ্গে হয়তো অনেক সময় বন্ধুরা যোগ দেন।
''আমার পুজোর সব কিছুই খুব ভালো লাগে। সবচেয়ে ভালো লাগে, এই পুজো আসছে, পুজো আসছে এই ব্যাপারটা। আবার পুজো যখন আসবে, তখন তো দুম করে চলে যাবে। তার মধ্যেই কী করে সবচেয়ে বেশি আনন্দ করে নেওয়া যায়, ওটাই পুজোর মজা। ছুটির সময়ে সবার ইচ্ছে হয় একটু ঘুমোবো। কিন্তু পুজোর সময় আমার মনে হয় না কোনও বাঙালি ঘুমোয়। আমি ঘুমোতে যাই পুজোর দিনে ভোর পাঁচটা-ছটায়। আবার ঘুম থেকে উঠে পড়ি দশটার সময়'', বলেন নায়ক।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/09/1-23.jpg)
আরও পড়ুন: ছেলেকে নিয়ে পায়েল-দ্বৈপায়নের প্রথম বিদেশভ্রমণ এই পুজোতে
জনপ্রিয় টেলি-নায়ক ভালো নাচেন এবং পুজোর সময় ধুনুচি নাচ থেকে ভাসানের নাচ-- কোনওটা বাদ দেন না। ছোটবেলায় ধুনুচি নাচের কম্পিটিশনে অংশ নিতে ভালোবাসতেন খুব। তেমন কিছুর সন্ধানে থাকতেন। এখনও সুযোগ পেলেই পুজোমণ্ডপে ধুনুচি তুলে নেন হাতে। তবে পুজোতে ধুনুচি নাচের চেয়েও তাঁর বড় আকর্ষণ ভাসানের নাচ। এটা কোনওবার মিস হয় না, জানালেন নীল।
আরও পড়ুন: শোভাবাজারের মিত্র বাড়ির বউ সঙঘশ্রী! শোনালেন ৩৭২ বছরের পুজোর গল্প
''ভাসানে আমার নাচাটা একদম মাস্ট। সেটা লাস্ট দশ বছরের অভ্যাস। আর সেটা আমি নাচি হল, সাউথ পয়েন্ট স্কুলের উল্টোদিকে দুর্গাবাড়িতে। ওখানে গোল গোল তিন চক্কর ঘুরে নাচ হয়। আমার স্কুলের বন্ধু, কলেজের বন্ধু, এখনকার বন্ধু, সবাই মিলে ভাসানে যা নাচা হয়'', বলেন নীল, ''ওখানে সিঁদুরখেলা দেখে মনে হয় যেন ছোট হোলি। হয়তো যাঁরা বিবাহিত মহিলা, তাঁদেরই গালে সিঁদুর দেওয়া উচিত। কিন্তু আমরা ঠিক ওইভাবে দেখি না। আমাদের কাছে ভাসানের আগে সিঁদুরখেলাটা অনেকটা হোলি খেলার মতোই। লাল আবিরের মতোই সবাই সবার মুখে লাগিয়ে খুব মজা করি। ওইটা প্রত্যেক পুজোতে মাস্ট। আর তার পরে যেই পুজো শেষ হয়, মনে হয় জীবনটাই শেষ হয়ে গেল।''