Ranu Pelo Lottery team Durga Puja adda: জি বাংলা-র 'রানু পেল লটারি' ধারাবাহিকের নায়ক-নায়িকা-- বিজয়লক্ষ্মী এবং ক্রুশল দুজনেই অভিনেত্রী স্বাগতা মুখোপাধ্যায়ের কাছে অভিনয় প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন ধারাবাহিকটি শুরুর আগে। তাই দায়িত্ববান শিক্ষিকার মতোই নায়ককে পুজোর ছুটির হোমওয়ার্ক দিলেন স্বাগতা। পুজোর পরিকল্পনা নিয়ে 'রানু পেল লটারি' টিম আড্ডা দিচ্ছিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে। আড্ডা জমে উঠল স্বাগতা মুখোপাধ্যায়ের তীক্ষ্ণ সেন্স অফ হিউমরে।
''আমি ক্রুশলকে একটা টাস্ক দিয়েছি'', বেশ রহস্য নিয়ে গম্ভীরভাবে বলেন স্বাগতা, ''কীভাবে বাসন্তী পোলাও আর মাটন রান্না করতে পারো।'' সঙ্গে সঙ্গেই নায়ক-নায়িকা দুজনে হেসে কুটিপাটি। ক্রুশল মজা করে বলেন, ''আমরা তো একটা প্ল্যান করছি, একদিন স্বাগতাদি আমাদের রান্না করে খাওয়াবে।'' শুনেই ধারাবাহিকের কায়দায় বলেন স্বাগতা, ''বাবু একদম মিথ্যে কথা বলবে না।''
সপ্তমী থেকেই বন্ধ টেলিপাড়া। তবে এক একটা ইউনিটে পুজোর ছুটির দৈর্ঘ এক এক রকম। কোথাও পাঁচদিন, কোথাও ছ'দিন আবার কোথাও লক্ষ্মীপুজো কাটিয়ে তবেই শুরু শুটিং। কিন্তু ছুটি যত লম্বাই হোক না কেন, মনে হয় যেন দেখতে দেখতেই কেটে গেল।
আরও পড়ুন: ঠাকুর দেখার সঙ্গে থাকুক নতুন ৫টি পুজোর গান
কথায় কথায় উঠল ছোটবেলার পুজোর কথা। বিজয়লক্ষ্মী বললেন, ''ছোটবেলায় আমি পুজোর সময় ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখতে একদম ভালোবাসতাম না। পুজোর আনন্দ ছিল ক্যাপ ফাটানো আর বাড়িতে থেকে প্রিয়জনদের সঙ্গে হইহই করতেই ভালোবাসতাম, এখনও তাই।'' তবে নায়িকা এখনও যে খুব একটা বড় হয়ে গিয়েছেন বয়সের দিক থেকে তা নয়। বেশ ছোটই রয়েছেন। তাই বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পুজোর আস্বাদন বদলে যাওয়ার বিষয়টা এখনও আসেনি।
কিন্তু স্বাগতা মুখোপাধ্যায়ের পুজোয় অনেকটা পরিবর্তন এসেছে। ''আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন প্যান্ডেলে গিয়ে সুন্দর দেখতে ছেলেদের দেখতাম। এখন প্যান্ডেলে গিয়ে সুন্দর দেখতে ছেলে-মেয়ে দুজনকেই দেখি'', বলেন স্বাগতা এবং আবারও হেসে গড়িয়ে পড়েন নায়ক-নায়িকা দুজনে। তবে স্বাগতার দুই ছাত্রছাত্রী তথা সহ-অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও কিছু কম যান না। ওই কথা শুনেই বলেন বিজয়লক্ষ্মী, ''আর সুন্দর দেখতে ছেলেমেয়েরা স্বাগতাদিকে দেখে। যত দিন যাচ্ছে ততই স্লিম হচ্ছে আর সুন্দর হচ্ছে আরও।''