নেগেটিভ চরিত্র করতে করতে মানুষ কি আসলেই পাল্টে যান। সকাল হতেই একটা মানুষ যখন শোন তাঁকে সারাদিন একে ধাক্কা মারতে হবে, ওকে শক দিতে হবে, ওকে বোম্ব মারতে হবে... তাঁর অনুভূতি ঠিক কেমন হয়?
Advertisment
মন দিতে চাই ধারাবাহিকের মালিনী ব্যানার্জি অর্থাৎ নন্দিনী চ্যাটার্জি যা কান্ড করে চলেছেন, তাতে চমকে উঠছেন সবাই। শুধু তাই নয়, অভিনেত্রীর কাজ একটাই, তিতিরকে ধ্বংস করা। সেই কারণেই নানা ফন্দী এঁটে চলেছেন তিনি। যত রকমের অনৈতিক কাজ, সবটাই করছেন তিনি। কিন্তু, সকাল হতেই যখন দিনের শিডিউলটা জানতে পারেন, তখন কী করেন?
নন্দিনী চট্টোপাধ্যায় অনেক বছর ধরেই ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছেন। তাঁকে পজেটিভ চরিত্রের তুলনায় নেগেটিভ চরিত্রে বেশি দেখা গিয়েছে। আর এবার তিনি যা শুরু করেছেন তাতে করে আর চোখে দেখা যাচ্ছে না। অভিনেত্রী বললেন, "আমি তো অবাক। মালিনী ব্যানার্জি যা যা করছে। একদিন তো শুনলাম, স্বামীকে নাকি সিঁড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলতে হবে। এরপরই অরুণিমা অর্থাৎ তিতির বলেন, নন্দিনী দি এসে বলে, জানিস তোকে আবার শক দিতে হবে। আমি তখনই বলি, তুমি না! মালিনী ব্যানার্জি আমায় শক দেবে। অত খারাপ কেউ হয় না জানো তো।"
কিন্তু, মালিনী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গ দিলেন অনামিকা সাহা। তিনি নিজেও এককালে বিন্দু মাসি হয়েছেন, নানা ভিলেন চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তাই তো তিনি বলেন, "না না! এর থেকেও খারাপ হয়। আমি করেছি না বিন্দু মাসি"। হেসে খুন সকলেই। বাকি, রচনা বলে বসলেন - "এই যে যখনই এমন হবে নেগেটিভ চরিত্রের কথা? তখনই এনাকে( অনামিকা সাহাকে ) দেখে নেবে।"
প্রসঙ্গত, মন দিতে চাই ধারাবাহিকটি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়। সেয়ানে সেয়ানে এখন মুকাবলা চলছে। কে কাকে, দেখিয়ে দিতে পারেন সেটাই আসল বিষয়।