Bollywood Legendary Actress: ১৯৭০ সালে অভিষেকের পর জিনাত আমান তার সময়ের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেত্রী হয়ে ওঠেন । হরে রামা হরে কৃষ্ণা, রোটি কাপড়া অউর মাকান এবং ধরম বীরের মতো সিনেমার মাধ্যমে তিনি স্টাইল আইকন হয়ে ওঠেন। তাঁর মাধ্যমেই, নায়িকাদের প্রতি ইন্ডাস্ট্রির দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে শুরু করে। শীর্ষস্থানীয় তারকাদের মধ্যে একজন হিসেবে জিনাত আমান জায়গা করে নেন। তিনিই একবার ফিরোজ খানের ছবিতে কাজ করতে অস্বীকার করেছিলেন। ১৯৭৫ সালের ধর্মাত্মায় নাকি কাজ করতে চাননি। এর ফলে দুজনের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয় এবং ফিরোজ ফোনে তাকে গালিগালাজও করেন।
শেমারু লাইফস্টাইলের সাথে একটি পুরনো সাক্ষাৎকারে জিনাত আমান সেই ঝগড়ার কথা জানিয়েছিলেন। কোরবানি ছবির জন্য পরিচালকের সঙ্গে রীতিমতো অশান্তি করেন। তিনি বলেন, "ফিরোজ খান আমাকে ধর্মাত্মাতে একটি সেকেন্ডারি চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলাম। এর জন্য ফিরোজ আমার উপর রেগে ছিলেন। পরে, তিনি আমাকে ফোনে গালিগালাজও করেছিলেন। এতে আমি এত বিরক্ত হয়েছিলাম, আমরা অনেকদিন কথা বলিনি।"
তবে, এই লড়াইয়ের পরেও, ফিরোজ খান কুরবানি ছবির জন্য তাঁর কাছে প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, "যখন তিনি কুরবানী তৈরি করছিলেন তিনি, তখন তিনি আমাকে আবার ফোন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, 'এবার, এটি কোনও গৌণ ভূমিকা নয়।" একই সাক্ষাৎকারে, জিনাত আমান জানান যে কোরবানির পর থেকেই তিনি তাকে ছোটি বেগম বলে সম্বোধন করতে শুরু করেন। জিনাত আমানের অল্প সময়ের জন্য বিয়ে হয়েছিল ফিরোজ খানের ভাই সঞ্জয় খানের সাথে। তিনি তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছিলেন বলে অভিযোগ। এর ফলে তাদের বিয়ের এক বছরের মধ্যেই বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।"
এর আগে, কোরবানির শুটিংয়ের অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে জিনাত আমান জানিয়েছিলেন, কীভাবে ফিরোজ একবার সেটে দেরিতে পৌঁছানোর জন্য তার পারিশ্রমিক আটকে দিয়েছিলেন। ২০২৪ সালে একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জিনাত জানান, "ফিরোজ এবং আমার শুরুটা বেশ কঠিন ছিল। তখন ছিল ৭০-এর দশক, তিনি আমাকে টেলিফোনে ফোন করে তার আসন্ন প্রযোজনায় একটি চরিত্রের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ছোট চরিত্র ছিল সেটা। তাই আমি বিনয়ের সাথে প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেছিলাম। ফিরোজ এতে রেগে যান এবং অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ শুরু করেন।"