Zubeen Garg Last Rites: পঞ্চভূতে বিলীন জুবিন, শেষশ্রদ্ধায় বেজে উঠল 'মায়াবিনী'

প্রখ্যাত অসমীয়া গায়ক ও সংগীতশিল্পী জুবিন গর্গের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে মঙ্গলবার। গুয়াহাটির উপকণ্ঠে অবস্থিত কামারকুচি এনসি গ্রামে।

আসাম পুলিশের উপস্থিতিতে জুবিনের চিতায় আগুন দেওয়া হয় তাঁর বোন পালমি বরঠাকুরের তত্ত্বাবধানে। শ্রদ্ধা জানাতে সমবেত ভক্তরা তাঁর অন্যতম আইকনিক গান ‘মায়াবিনী’ গানটি পরিবেশন করেন। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু, আসাম বিধানসভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দৈমারি এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালও তাঁকে শ্রদ্ধা জানান।

অর্জুন ভোগেশ্বর বড়ুয়া স্পোর্টস কমপ্লেক্স থেকে তাঁর মরদেহ শ্মশানে নেওয়া হয়, যেখানে হাজার হাজার শোকসন্তপ্ত ভক্ত অংশগ্রহণ করেন। এক চূড়ান্ত শোভাযাত্রার মাধ্যমে তাঁকে বিদায় জানানো হয়। জুবিনের শেষকৃত্য সম্পূর্ণরূপে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হয়।

আসামের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের এক বিশাল ব্যক্তিত্ব জুবিন গর্গ ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে মৃত্যুবরণ করেন, যেখানে তিনি উত্তর-পূর্ব ভারত উৎসবে অংশগ্রহণ করতে গিয়েছিলেন। তাঁর মরদেহ ২১ সেপ্টেম্বর সকালে গুয়াহাটিতে পৌঁছয়। এবং ভক্তদের শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্পোর্টস কমপ্লেক্সে রাখা হয়।

মঙ্গলবার সকালে গুয়াহাটির মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে জুবিনের দেহের দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, জনসাধারণের দাবি ও স্বচ্ছতার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “সিঙ্গাপুরে পোস্টমর্টেম হয়েছে, কিন্তু জনসাধারণের দাবির প্রেক্ষিতে অসমেও দ্বিতীয়বারের ময়নাতদন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। এতে কোনো পক্ষপাত থাকবে না এবং সকল প্রশ্নের সঠিক উত্তর মিলবে।”

জুবিনের স্ত্রী গরিমা সাইকিয়ার সঙ্গে আলোচনা শেষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শর্মা আরও বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে সিঙ্গাপুরের পর আবার লাশ কাটা সমর্থনযোগ্য মনে হয়নি, তবে জনসাধারণের অনুরোধ ও স্বচ্ছতার স্বার্থে এটি অত্যাবশ্যক।”

চমৎকার তিন দশকের ক্যারিয়ারে জুবিন ৪০টি ভাষা ও উপভাষায় প্রায় ৩৮,০০০ গান পরিবেশন করেছিলেন, যা বিশ্বব্যাপী সংগীতপ্রেমীদের হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছে। শেষবার তাঁকে দেখার জন্য ভক্তদের সমুদ্র প্রমাণ করল জুবিনের অবিস্মরণীয় উত্তরাধিকার ও মানুষের ওপর তাঁর গভীর প্রভাব। কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজুও তাঁকে শ্রদ্ধা জানান।